দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে ঋষভ পন্থ খেলতে পারেননি। রান আউটের পরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সমালোচিতও হয়েছেন। তবে উইকেটকিপার হিসেবে তৃতীয় দিন খারাপ খেললেন না। যথেষ্ট ভরসা জুগিয়েই জাতীয় দলের উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব পালন করলেন।
তৃতীয় দিনের শুরুর বলেই পন্থ ডাইভ করে দারুণ ক্যাচে ফেরত পাঠালেন বিজে ওয়াটলিংকে। তারপরে উইকেটকিপার হিসেবে সারাক্ষণ নিজের উপস্থিতি জানান দিলেন। কাইল জামেসন ব্য়াট করার সময়ে প্রায়ই আম্পায়ারের কাছে আবেদন করে চাপে রাখার কৌশলও করে গেলেন। সেই কাইল জামেসন ব্যাট হাতে অশ্বিনকে গোটা কয়েক ওভার বাউন্ডারিও হাকালেন।
জামেসন ফিরে যাওয়ার পরে কলিন গ্র্যান্ডহোম টানছিলেন দলকে। কলিন গ্র্যান্ডহোমকে যে ৩৪ রানে ফিরতে হল, তার পিছনে অনেকটাই কৃতিত্ব পন্থের। সেই সময়ে ৩২ রানে ব্যাটিং করছিলেন কিউয়ি অলরাউন্ডার। অশ্বিনের বল স্কোয়্যারে ঠেলে বাউন্ডারি হাকিয়েছিলেন আগের বলে। ৯৫তম ওভারের শেষ বলেই বিপর্যয়।
অশ্বিনকে মাঠের বাইরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে স্ট্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে বলের দিশা বদলে অশ্বিন লেগ স্ট্য়াম্পে অতিরিক্ত বাউন্স সমেত ফুল লেংথের বল ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই বলই গ্র্যান্ডহোমের গ্লাভস ছুইয়ে জমা পড়ে পন্থের হাতে। দারুণ ক্ষিপ্রতায় ক্যাচ তালুবন্দি করেছিলেন তারকা উইকেটকিপার।
এরপরেই দলের সতীর্থরা সেভাবে আউটের জন্য আবেদন না করলেও অশ্বিন-পন্থ মিলে আবেদন চালিয়ে যান। প্রাথমিক আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও পন্থ নাগাড়ে আবেদন করতে থাকেন। পন্থের আত্মবিশ্বাসী আবেদন দেখেই শেষ পর্যন্ত আউটের নির্দেশ দেন আম্পায়ার।
ঋষভ পন্থের সেই আউট সোশ্যাল মিডিয়ায় কুর্নিশ কুড়িয়ে নিয়েছে।