ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ছুটি কাটাতে গিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন জাতীয় দলের তারকারা। ঋষভ পন্থ, থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট দয়ানন্দ গরনি যেমন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তেমন আইসোলেশনে রাখা হয়েছে কোচ ভরত অরুণ, ঋদ্ধিমান সাহা এবং অভিমন্যু ঈশ্বরণকে।
স্কোয়াডের দুজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তারকারা কীভাবে সংক্রমিত হলেন! পন্থ ইউরোর ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন ওয়েম্বলিতে। ২৯ জুন ওয়েম্বলিতে খেলা ছিল ইংল্যান্ড বনাম জার্মানির। সেই ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল তারকাকে। তিনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেন। অনেকের ধারণা সেখানে গিয়েই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন তারকা।
আরো পড়ুন: বিশ্বকাপের শুরুতেই এবার ভারত-পাকিস্তান! টুর্নামেন্টের বড় ঘোষণায় চমকে দিল আইসিসি
৮ তারিখে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই কোয়ারেন্টাইন সারছেন তারকা ক্রিকেটার। তবে ইউরোর ম্যাচে নয়, জুলাইয়ের ৫ এবং ৬ তারিখে লন্ডনে ডেন্টিস্টের চেম্বারে গিয়েছিলেন তারকা ক্রিকেটার। সেখানে গিয়েই নাকি সংক্রমিত হয়েছেন তারকা, এমনটাই জানানো হয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।
৭ তারিখে লন্ডনে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং পরিবারের সমস্ত সদস্যদের করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। ঠিক একদিন পরেই পন্থের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বোর্ডের এক সূত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে জানিয়েছেন, "জুলাইয়ের ৭ তারিখে সকলকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। তার আগে পন্থ জুলাইয়ের ৫ এবং ৬ তারিখে ডেন্টিস্টের চেম্বারে গিয়েছিলেন। সেই ক্লিনিক থেকেও সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন তিনি।"
এদিকে পন্থের সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহাও আইসোলেশনে থাকায় ২০ জুলাই থেকে কাউন্টি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে উইকেটকিপার কে হবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে পারেন কেএল রাহুল। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এমনটাই জানিয়েছেন, টিমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক ব্যক্তি।
এদিকে, জাতীয় দলের সকলকে প্রতিষেধক দেওয়া হলেও, সংক্রমণের সম্ভবনা কমানোর জন্য সকলকে প্রত্যেকদিন ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্ট করা হচ্ছে। এমনটাই বোর্ডের ইমেলে জানিয়েছেন সচিব জয় শাহ।
ইংল্যান্ডে সফররত ভারতীয় দলকে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ভিড় জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন