Rohit Sharma on how Rishabh faked fielding during t20 World Cup final: টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর বেশ কয়েকমাস কেটে গিয়েছে। এবার সেই জয়ের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পরই রোহিত বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু, তার মধ্যেই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে যে কৌশল টিম ইন্ডিয়া নিয়েছিল, যা উইকেটের কাছে লাগানো মাইক্রোফোনেও ধরা পড়েনি, এবার তা-ই সামনে আনলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। তা-ও সবটা তিনি প্রকাশ্যে আনতেও দ্বিধাবোধ করেছেন। তবে, যেটুকু এনেছেন, তা-ই ইতিমধ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।
জুন মাসে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পান্ডিয়া ১৭তম ওভারে হেনরিখ ক্লাসেনকে সরিয়ে দেওয়ায় চূড়ান্ত চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। কিন্তু, তার আগেও ভারতীয় দলের সদস্যরা খেলার গতি বদলাতে নানা ছক কষেছিলেন। শেষ ৩০ বলে জয়ের জন্য মাত্র ৩০ রানের দরকার ছিল। সেই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন, ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। গোটা টুর্নামেন্ট অপরাজিত থেকে ফাইনালে হারতে চলেছে রোহিত-বাহিনী। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা সেরকম হয়নি। তার কারণ টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়রা। তাঁরা জিততে কতটা মরিয়া ছিলেন, নিজেদের মধ্যে গোপন কথাবার্তাই তা বুঝিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
আর, মাঠে সেই জয়ের ইচ্ছাটাই হাতেকলমে প্রকাশ করে দেখিয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, আরশদীপ সিং-রা। কিন্তু, সেটা তো সবাই দেখেছে। যেটা দেখেনি, সেটাই দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-এ ফাঁস করলেন রোহিত। তিনি বলেছেন, 'পান্ডিয়া ক্লাসেনকে আউট করার পর থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর চাপ বাড়তে থাকে। আমাদের ছেলেরা একসঙ্গে শলাপরামর্শ করে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটারদের স্লেজ করতে শুরু করে। সেটা আমি সব এখানে বলতে পারব না। কিন্তু, ওটারও দরকার ছিল। কারণ, আমাদের তখন যে কোনওভাবে ম্যাচ জিততে হবে, এই অবস্থা।'
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপে ফের ভারতের সামনে মাথা ঝোঁকাল পাকিস্তান! সেরার সেরা জয়ে সেমির স্বপ্নে টিম ইন্ডিয়া
রোহিত বলেন, 'তখন জেতার জন্য এমন অবস্থা যে আমরা কোনও জরিমানা, সাজা কিছুকেই পরোয়া করছিলাম। আমিও ছেলেদের বলে দিয়েছিলাম, জরিমানা-সাজা পরে। আগে জেতার জন্য যা দরকার কর। পরে, রেফারি-আম্পায়ারদের দেখা যাবে। যখন ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল, পন্থ হঠাৎ খেলা থামিয়ে দেয়। ওঁর হাঁটুতে চোট ছিল। ওই জন্য টেপ লাগানো ছিল। সেই সময় সব ব্যাটারদের মতই ক্লাসেন চাইছিল, দ্রুত খেলা হোক। ও হাত খুলে পেটাবে। আর, তখনই দেখি পন্থ মাটিতে বসে পড়েছে। ফিজিওথেরাপিস্ট দৌড়ে এল। ওঁর হাঁটুতে আবার টেপ লাগাল। আর, আমি তখন ফিল্ডিং সাজাচ্ছি। ওই সময় পন্থ বুদ্ধি করে ওভাবে ম্যাচটাকে ধীরগতির করে দেওয়ায় ব্যাটসম্যানের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। এই সব ব্যাপারগুলো শেষ পর্যন্ত আমাদের ওই ম্যাচে কাজে লেগেছে।'