শুক্রবার থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজের ঢাকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে। হায়দরাবাদে প্রথম টি২০তেই আবার ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ধোনিকে টপকে যাওয়ার মুখে ঋষভ পন্থ। টি২০তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে উইকেটকিপার হিসেবে শিকার সংখ্যায় অগ্রজকে পেরিয়ে যেতে পারেন তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে ক্যারিবিয়ান বধে নামছেন কোহলিরা। সেখানেই রেকর্ডের সামনে পন্থ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭টি টি২০ খেলে পন্থের শিকার সংখ্যা ৩। সমসংখ্যক ম্যাচে ধোনি শিকার সংখ্যা ছিল ৫টি। ইন্দো-ক্যারিবিয়ান দ্বৈরথে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন ক্যারিবীয় কিপার দীনেশ রামদিন। ৫টি শিকার রয়েছে তাঁর নামের পাশে।
তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে আন্দ্রে ফ্লেচার ও দীনেশ কার্তিক। দুজনের শিকার সংখ্যা যথাক্রমে ৪ ও ৩। ক্য়ারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে কিপিংয়ে দারুণ সাফল্য রয়েছে। সেই ধোনিকেই এবার দেখা যাবে না আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজে। তাঁকে বাইরে রেখেই দল গড়েছেন নির্বাচকরা। ধোনিকে দেখা যেতে পারে নিউজিল্যান্ড সিরিজে।
ধোনির পরিবর্তে নির্বাচকরা নিয়মিত পন্থকে খেলালেও এখনও ব্যাটিংয়ে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি তরুণ তারকা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও তাঁর ব্যাটিং ও কিপিং সমালোচিত হয়েছে। তবে নির্বাচকদের আস্থা রেখেছেন দিল্লির তারকার উপরে।
এম এস ধোনি- ৭ ম্যাচে শিকার সংখ্যা ৫ (৩টে ক্যাচ এবং ২টো স্ট্যাম্পিং)
দীনেশ রামদিন- ৭ ম্যাচে শিকার সংখ্যা ৫ (৫টে ক্যাচ এবং কোনও স্ট্যাম্পিং নেই)
আন্দ্রে ফ্লেচার- ৪ ম্যাচে শিকার সংখ্যা ৩ (৩টে ক্যাচ এবং কোনও স্ট্যাম্পিং নেই)
দীনেশ কার্তিক- ৪ ম্যাচে শিকার সংখ্যা ৩ (৩টে ক্যাচ এবং কোনও স্ট্যাম্পিং নেই)
ঋষভ পন্থ- ৭ ম্যাচে শিকার সংখ্যা ৩ (৩টে ক্যাচ এবং কোনও স্ট্যাম্পিং নেই)
বিশ্বকাপের পরে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মাটিতেই প্রতিপক্ষকে টেস্ট, ওয়ান ডে এবং টি২০তে হারিয়েছিল ভারত। সেই একই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইছেন কোহলিরা। অন্যদিকে, ক্যারিবিয়ানরা আবার টি২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতের মাটি থেকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চাইছেন ইন্ডিয়াকে বিপর্যস্ত করে।