RJ Mahvash's heartfelt instagram post on Yuzvendra Chahal: গোটা IPL 2025-এ দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings)। প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজিও ১৮ বছর ধরে আইপিএল ট্রফির অপেক্ষায়। আরও এক বছরের জন্য এই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল। পাঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের (Yuzvendra Chahal) পারফরম্যান্স সবার নজর কেড়েছে। কিন্তু ফাইনালে তিনি সেভাবে কামাল দেখাতে পারেননি। যা নিয়ে তাঁকে ট্রোলও হতে হয়েছে। এবার চাহালের হয়ে ব্যাট করলেন তাঁর তথাকথিত বান্ধবী আরজে মহবশ (RJ Mahvash)। সমালোচকদের পাল্টা জবাব দিয়েছেন মহবশ।
ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে ডিভোর্সের পর চাহাল ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ চর্চায় ছিলেন। বিচ্ছেদের পর জীবন কঠিন হয়ে পড়ে চাহালের। এবারের আইপিএল মরশুমে সাফল্য পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে চাহালকে। পাঞ্জাব কিংসের স্পিনার ৩টে চোট নিয়ে খেলেছেন। পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পরও প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে খেলেছেন চাহাল।
মহবশ বলেছেন, তিনটে ফ্র্যাকচার নিয়ে খেলেছেন তাঁর প্রেমিক। যেকোনও ক্রিকেটারের কেরিয়ারের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকির বিষয় এটা। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্টে বান্ধবী মহবশ জানিয়েছেন চাহালের কষ্টের কাহিনী। এবারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচ খেলে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন চাহাল। চোটের কারণে ৩ ম্যাচ খেলতে পারেননি। তা সত্ত্বেও পাঞ্জাবের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন চাহাল।
আরও পড়ুন চাহালের এই গুণেই ফিদা, প্রেমের গুঞ্জনের মাঝেই খুল্লামখুল্লা বান্ধবী মহবশ
মরশুমের শেষদিকে ৩টে ম্যাচ খেলতে পারেননি চাহাল। কারণ তাঁর কবজির চোট। তবে আহমেদাবাদে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তিনি প্লেয়িং ইলেভেনে ফেরেন। মহবশ ফাঁস করেছেন, পুরো সিজন চাহাল ৩টে চোট নিয়ে খেলেছেন। ভাঙা পাঁজর, বোলিং আর্মের গুরুত্বপূর্ণ আঙুলে ফ্র্যাকচার এবং কবজিতে ফ্র্যাকচার নিয়ে খেলেন চাহাল।
রেডিও জকি মহবশ এই সিজনের প্রায় সবকটি পাঞ্জাবের ম্যাচেই গ্যালারিতে হাজির ছিলেন। চাহাল এবং টিমকে উৎসাহ দিতে দেখা গেছে তাঁকে বহুবার। ইনস্টাগ্রামে একটি সুন্দর পোস্ট করে মহবশ চাহালের ফাইটিং স্পিরিটের প্রশংসা করেছেন।
মহবশ লিখেছেন, 'ওঁ লড়েছে, টিকে ছিল এবং শেষপর্যন্ত খেলেছে। আর চাহালের জন্য বিশেষ এক পোস্ট কারণ কেউ জানে না, ওঁর পাঁজর দ্বিতীয় ম্যাচেই ভেঙে গিয়েছিল। তার পর বোলিং আর্মের আঙুলের হাড়েও চিড় ধরে। এই লোকটা পুজো সিজন তিনটে ফ্র্যাকটার নিয়ে খেলেছে। আমরা সবাই ওঁকে যন্ত্রণায় চিৎকার করতে, কাঁদতে দেখেছি। কিন্তু হার মানতে দেখিনি। আমার মানে, আমাদের মধ্যে লড়াকু ভাবনা রয়েছে, টিম শেষবল পর্যন্ত লড়াই করেছে। এই বছর এই টিমের সমর্থক হওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। ওয়েল প্লেড বয়েজ!এই ছবিতে সবার মন রয়েছে, পরের বছর দেখা হবে। সেইসঙ্গে আরসিবি এবং তাঁদের ফ্যানদের খেতাব জয়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা, সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে এবং খেলেছে!'