রবিবার নাগপুরে বাংলাদেশকে ৩০ রানে হারিয়ে তিন ম্য়াচের টি-২০ সিরিজ ২-১ জিতে নিয়েছে ভারত। এই অনবদ্য জয়ের কৃতিত্ব বোলারদেরই দিচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্য়াপ্টেন রোহিত শর্মা। তাঁর বিচারে টি-২০ ফর্ম্য়াটে এটাই ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রত্য়াবর্তন।
ম্য়াচের পর সাংবাদিক বৈঠকে হিটম্য়ান বললেন, “বোলাররাই আমাদের ম্য়াচ জেতাল। একজন ব্য়াটসম্য়ান হিসেবেই কথাটা বলছি যে, এই শিশির ভেজা পিচে বোলারদের জন্য় কাজটা কতটা কঠিন ছিল। আমার কাছে টি-২০ ফর্ম্য়াটে এটাই ভারতের শ্রেষ্ঠ প্রত্য়াবর্তন। একটা সময় বাংলাদেশের কাছে ম্য়াচ জেতাটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। ওদের আট ওভারে জয়ের জন্য় ৭০ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ছেলেরা নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। এরকম চাপের মধ্য়েও তরুণ খেলােয়াড়রা দেশের হয়ে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। প্রথম আট ওভারে আমাদের শরীরি ভাষায় কোথাও একটু খামতি ছিল। কিন্তু এরপরই একটা অন্য়রকম টিম ইন্ডিয়াকে দেখতে পেলাম।”
আরও পড়ুন-চাহারে মোহিত শচীন থেকে সৌরভ, টুইটারে ভূয়সী প্রশংসা টিম ইন্ডিয়ার
রোহিত লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়স আয়ারেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি সাফ বলে দিচ্ছেন যে, টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য় দল বাছতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও নির্বাচকদের চাপে পড়তে হবে। তাঁর সংযোজন, “ বিশ্বকাপের আগেই আমরা একটা ব্য়ালেন্স দল পেয়ে যাব। কেউ কেউ নেই এই দলে। তারা ফিরবে। বিশ্বকাপের জন্য় অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরার আগে আমরা এগারো জনকে পেয়ে যাব। যদিও তারা দল নিয়ে অনেক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবেই। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেললে দল বাছতে হিমশিম খেতে হবে বিরাট ও নির্বাচকদের।”
আরও পড়ুন-ভিডিও: দীপক চাহারের বিশ্বরেকর্ড, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং পরিসংখ্য়ান
ম্য়াচ ও সিরিজের সেরা দীপক চাহার বলছেন কঠোর পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি। বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারতের হয়ে বল হাতে আগুন জ্বেলেছেন চাহার। হ্য়াটট্রিক সহ-একাই তুলে নিলেন ছয় উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা বোলিং পরিসংখ্য়ানে নথিভুক্ত হয়ে গেল তাঁর নাম। চাহার এপ্রসঙ্গে জানালেন, “ আমি ভাবিনি এরকম কিছু ঘটতে পারে। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। ভগবানের আশীর্বাদেই এটা সম্ভব হয়েছে। আপফ্রন্টে বল করার পরিকল্পনাই ছিল আমার। আমাকে বলা হয়েছিল যে, গুরুত্বপূর্ণ ওভারগুলোই আমাকে তুলে দেওয়া হবে। টিম ম্য়ানেজমেন্ট আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে তার মর্যাদা রাখতে পেরে খুশি।”