ক্রিকেটের নক্ষত্র তিনি। তর্কাতীতভাবে সর্বকালের অন্যতম সেরা তিনি। শচীন রমেশ তেন্ডুলকর ব্যাট হাতে ত্রাসের সঞ্চার করতেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের বুকে। তবে শচীন তেন্ডুলকরকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার জন্য টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে রীতিমতো ভিক্ষা চাইতে হয়েছিল। এমনই ফাঁস হয়ে গিয়েছে স্বয়ং কিংবদন্তির কথায়। সাহসী ক্রিকেটের জন্য তিনি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টের মানসিকতাই বদলে ফেলতে বাধ্য় করেছিলেন।
ওয়ান ডে-তে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। পরে ওপেনার হিসেবে তাঁকে খেলানো হতে থাকে। কেরিয়ারের প্রথম শতরান এসেছিল ওপেনার হিসেবেই। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার ওয়ানডে-তে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছন তিনি। সম্প্রতি একটি চ্যাট শো-য়ে শচীন জানিয়েছেন কীভাবে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথাগত ভাবনার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি খেলা শুরু করেছিলেন।
শচীন যে সময় খেলতেন, সেই সময় সাধারণত ওপেনারদের নির্দেশ দেওয়া ছিল উইকেট বাঁচিয়ে রেখে খেলার জন্য়। তবে শচীন চাইতেন আগ্রাসী ক্রিকেট। সেই ক্রিকেট খেলার ছাড়পত্র আদায়ের জন্য কাকুতি মিনতি করতে হয়েছিল তাঁকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কডিনে শেয়ার করা এক ভিডিওতে লিটল মাস্টার জানিয়েছেন, "১৯৯৪ সালে যখন ওয়ান ডে-তে ওপেন করা শুরু করি, সেই সময় টিমগুলোর স্ট্র্যাটেজি থাকত, শুরু থেকেই উইকেট বাঁচিয়ে খেলার। আমি প্রথাগত সেই ধারনা থেকে বেরিয়ে খেলতে চাইছিলাম। ভাবতাম, শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ বোলারদের উপরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য কার্যত ভিক্ষা প্রার্থনা করতে হয়েছিল। বলেছিলাম, যদি ব্যর্থ হই, তাহলে আর এমনভাবে খেলব না।"
টিম ম্য়ানেজমেন্টের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেছিল। তারপরেই অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচে ৪৯ বলে ৮২ রান করেন শচীন। মাস্টার ব্লাস্টার বলছিলেন, "প্রথম ম্যাচেই রান করায় আমাকে আর ম্যানেজমেন্টের কাছে গিয়ে সুযোগ চাওয়ার অনুমতি নিয়ে হয়নি। ওরাও চাইছিল আমি ওপেন করি। তবে আমার বলার উদ্দেশ্য হল, ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে চেষ্টা বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়।"
প্রথম শতরান হাকানোর পরে শচীনকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। আড়াই দশক ধরে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করেছেন একাই। এরপরে ৩৮৫টি ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিয়ে শচীন ৪৯ শতরান সহ ১৬ হাজারেরও বেশি রান করেন।
Read the full article in ENGLISH