২০০৮ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ভারত। সেবার পারথে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর ১৫ বছর আগে অ্যডিলেডে স্টিভ ওয়ার ‘অপরাজেয়’ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত। সেবার বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছিল। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ শেষ হয়েছিল। এবার ২০১৮-তে কোহলির টিম ইন্ডিয়া অ্যাডিলেডে হারাল টিপ পেইনের অজিদের।
২০০৩-এ অ্যাডিলেডে ছিল ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট। ব্রিসবেনে প্রথম টেস্ট ড্র হয়ে গিয়েছিল। অ্যাডিলেডে ভারত চার উইকেটে জিতেছিল। সেই ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড় একাই লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেন দ্য ওয়াল। দ্রাবিড়ও তিনেই নেমেছিলেন সেদিন। আর জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী হিসেবে তাঁর নাম লেখা থাকবে ইতিহাসে। ঘটনাচক্রে কাকতালীয় হলেও চেতেশ্বর পূজারাও তিনে নেমে একই মাঠে দুই ইনিংস মিলিয়ে করলেন ১২৩ ও ৭১। তাঁর ব্যাটেই ভারত ৩১ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়াকে। অ্যাডিলেডের স্মৃতিচারণা শুধু শচীনই করেননি। বিসিসিআই-এর অস্থায়ী সভাপতি সিকে খান্নাও টুইট করে সেই প্রসঙ্গ টানলেন।
আরও পড়ুন: বোলারদের জন্য গর্বিত কোহলি, সিরিজ জয়ের অঙ্গীকার অজি অধিনায়কের
২০০৩-০৪ সফরে ভারতের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই রসদ রয়েছে। অধিনায়ক সৌরভ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেবার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ব্রিসবেনে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪৪ রানের ইনিংস। সিডনিতে শচীন খেলেছিলেন অনবদ্য ২৪১ রানের ইনিংস। সিরিজে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছিলেন দ্রাবিড় (৬১৯), ভিভিএস লক্ষ্মণ (৪৯৪) ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (৪৬৪)। বিরাটদের জয় দেখে এদিন স্মৃতিমেদুর হয়ে গেলেন শচীন। তাঁর মতো টুইট করেলন বীরু, শেহওয়াগ ও লক্ষ্মণও।
প্রাক্তন অজি স্পিডস্টার মিচেল জনসন ও ইংল্যান্ডের মাইকেল ভনের মুখেও ভারতের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। জনসন ভারতের জয়ের প্রশংসা করার পাশাপাশি অজিদের লড়াইয়ের কথাও বলেছেন। ভন বলছেন যে, ভারত এই জয়ের যোগ্য দাবিদার।