রবিবার ডিবিএস ব্যাঙ্কের উদ্যেগে ‘স্পার্কিং দ্য ফিউচার’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন শচীন তেন্ডুলকর। এদিন মুম্বইয়ের থানের অন্তর্গত মুম্ব্রার টিএমসি স্কুলের কচিকাচাদের সঙ্গে সময় কাটালেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ‘স্পার্কিং দ্য ফিউচার’-এর সৌজন্যে স্কুলের মাঠে সৌরশক্তি চালিত ফ্লাডলাইট বসানো হয়েছে। যাতে করে শিশুরা এবার রাতেও খেলতে পারে। আর এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই যুক্ত হলেন শচীন।
এখানে এসে শচীন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে যে বার্তা দিলেন সেখানে দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করার কথাই বললেন তিনি। আধুনিক ক্রিকেটের ডন জানান, “আমি সবসময় বলে এসেছি ভারতকে তরুণ হতে হবে। থাকতে হবে ফিট। বয়সের গড়ের বিচারে আমরা সবচেয়ে তরুণ দেশ। কিন্তু আমরা স্বাস্থ্যকর দেশ নই। যদি হতে পারতাম তাহলে আমাদের পৃথিবীর ডায়বেটিক ক্যাপিটাল বলা হতো না। স্থূলতার বিচারে আমরা তিন নম্বরে। আমাদের এখনই জীবনধারা বদলাতে হবে। শুধুমাত্র ক্রীড়াপ্রেমী দেশ হয়ে থাকলেই হবে না, আমাদের ক্রীড়া খেলিয়ে দেশ হয়ে উঠতে হবে। তখন আমি শুধু বাচ্চাদের নয়, তাদের বাবা-মা’কে বলতে চাই সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটান। তবেই একটা সুসম্পর্ক স্থাপন হবে।”
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শচীনের আরও একটি রেকর্ড ভাঙতে পারেন কোহলি
ফুটবলে মাতলেন শচীন তেণ্ডুলকর (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের জন্য ছবিটি তুলেছেন দীপক যোশী
স্কুল পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করতে শচীন নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিয়েছেন। মাস্টারব্লাস্টার স্বপ্ন দেখার পরামর্শই দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এও বলছেন যে, স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া করলেই তা বাস্তবায়িত হয়। তিনিও জীবনেই এটাই মেনে এসেছেন। শচীন ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শহরের মেয়র মীনাক্ষী শিণ্ডে ও থালে পৌরসভার অনান্য আধিকারিকরা।