দলীপ ট্রফিকে ঢেলে সাজানো হোক। প্রাক্তন সতীর্থের উদ্দেশ্যে এমনই পরামর্শ ভাসিয়ে দিলেন শচীন তেন্ডুলকর। ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে হাজির ছিলেন শচীন। বন্ধু সৌরভ কিছুদিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে বসেছেন। সেই টেস্টের পরেই শচীন পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন, দলীপ ট্রফি নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করুক সৌরভ।
শচীন সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন, "দলীপ ট্রফি নিয়ে সৌরভ নতুন কিছু পরিকল্পনা করুক। দলীপ ট্রফি হল এমন এক টুর্নামেন্টে যেখানে ক্রিকেটারদের জানানো হয়, টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সের উপরে পরবর্তীকালে খেলার সুযোগ নির্ভর করছে। সেই অনুযায়ী ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ফোকাস করে।"
শচীনের এরপরে সংযোজন, "যদি সামনে আইপিএল নিলাম, কিংবা কোনও আসন্ন টি২০ টুর্নামেন্ট থাকে সেদিকে পাখির চোখ করেই ক্রিকেটাররা খেলে থাকে।" কয়েকবছর আগেও দলীপ ট্রফি ছিল দেশের পাঁচটি জোনাল দলের লড়াই। তবে সাম্প্রতিককালে রাউন্ড রবিন ফর্ম্যাটে ইন্ডিয়া ব্লু, ইন্ডিয়া গ্রীন এবং ইন্ডিয়া রেড- এই তিনটে দল নিজেদের মধ্যে টুনার্মেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
রবিবারেই সৌরভ বোর্ডের প্রথম এজিএম-এ উপস্থিত থাকবেন বোর্ড সভাপতি হিসেবে। তার আগেই সৌরভকে শচীন জানাচ্ছেন, দলীপ ট্রফি নিয়ে যেন কিছু আলোচনা করা হয়। শচীন বলেছেন, "দলীপ ট্রফিতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ফোকাস সরিয়ে ক্রিকেটাররা যেন দল হিসেবে নিজেদের মেলে ধরে। কারণ ক্রিকেট বরাবরই দলগত খেলা। এই পরিবর্তন দলীপে আসা প্রয়োজন।"
কীভাবে দলীপে বদল আনা যায়, তার রোডম্যাপও বাতলে দিয়েছেন শচীন। তাঁর বক্তব্য, "রঞ্জির সেরা চারটে দল ছাড়াও আরও নতুন টিম অন্তর্ভূক্ত করা যেতে পারে। এমন কিছু দল থাকা প্রয়োজন যেখানে প্রতিভাধর ক্রিকেটাররা থাকবেন অথচ যাঁরা জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন দলের মধ্যে থেকে এমন ক্রিকেটারদের খুঁজে বাছাই করা সম্ভব। তাছাড়া বয়সভিত্তিক দল থেকে প্রতিভাধর ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।"
এর সঙ্গেই লিটল মাস্টারের সংযোজন, "অনুর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে যদি অসম্ভব প্রতিভাসম্পন্ন কোনও ক্রিকেটার থাকে, তাহলে সেই ক্রিকেটারদের দিকে তাকানো উচিত।"
Read the full article in ENGLISH