বন্ধুর পাঠানো একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করলেন শচীন তেন্ডুলকর। আর নেটিজেনরা ট্রোল করলেন আইসিসি-র আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনাকে। যদিও সেই ভিডিওর সঙ্গে দূর-দুরান্ত পর্যন্ত দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন ক্রিকেটারের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু সদ্য়সমাপ্ত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে একটি 'ভুল' সিদ্ধান্তের জন্য়ই ক্রিকেট ফ্য়ানেদের কাছে এখনও ভিলেন হয়েই রয়েছেন ধর্মসেনা।
শচীনের শেয়ার করা ভিডিওটি ইংল্য়ান্ডের দ্বিতীয় ডিভিশনের একটি ক্রিকেট ম্য়াচের। সেখানে দেখা যাচ্ছে বোলারের দ্রুত গতির বল মিস করেন ব্য়াটসম্য়ান। বলটি এসে লাগে বেলের ডগায়। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে বল লেগেও বেলটি না পড়ে নিজের জায়গা থেকে সরে যায়।
আরও পড়ুন: কলঙ্কিত ফাইনালে ঐতিহাসিক ভুল! স্বীকার করেও বিস্ফোরক মন্তব্য ধর্মসেনার
যদিও আম্পায়ার ক্রিকেটেন নিয়ম মেনেই সেটিকে নটআউট বলে ঘোষণা করে। কারণ দু'টি বেলের মধ্য়ে একটি বেল না পড়া পর্যন্ত সেটি আইনত আউট নয়। শচীন ফ্য়ানেদেরকে প্রশ্ন করেন যে, তাঁদের মতে এটি আউট না নটআউট? এর পরেই টুুইটারে ট্রোলড হল ধর্মসেনা।
বিশ্বকাপের ফাইনালে ট্রেন্ট বোল্টের রূদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে মার্টিন গাপটিল ডিপ মিডউইকেট থেকে সরাসরি বেন স্টোকসের উইকেট লক্ষ্য় করে বল ছুঁড়েছিলেন। স্টোকসের ব্যাটে লেগে ওভার থ্রো হয়ে বাউন্ডারি হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ রান প্রাপ্য ছিল ইংল্যান্ডের। কারণ আইসিসি-র নিয়মের ১৯.৮ ধারার উল্লেখ করা আছে, ফিল্ডার বল ছোঁড়ার সময় ব্য়াটসম্য়ান ক্রিজ অতিক্রম করে গেলে একটি মাত্র রানই দেওয়া যায়। গাপটিল বল ছোঁড়ার সময় ইংল্য়ান্ডের আদিল রশিদ এবং বেন স্টোকস ক্রিজ অতিক্রম করেননি। ফলে একটি মাত্র রান ও ওভারথ্রো-র জন্য় চার রান মিলিয়ে মোট পাঁচ রান দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ধর্মসেনা ৬ রান ‘উপহার’ দেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের। সেই সিদ্ধান্তই ট্রফি জয়ের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। সুপার ওভারে দু-দল একই রান তোলা সত্ত্বেও বাউন্ডারি মারার হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ডকে।