ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে ভারতকে। কিন্তু এজবাস্টনে বিরাট কোহলির ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। বিরাটের প্রশংসা করেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে লর্ডসে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। লর্ডসে নামার আগে বিরাটকে টিপস দিলেন আধুনিক ক্রিকেটের ডন। শচীন সাফ বলে দিলেন, আত্মতুষ্টিতে যেন না ভোগেন বিরাট।
এক সাক্ষাৎকারে মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, বিরাট যেন তাঁর ধারাবাহিকতা এভাবেই বজায় রাখে। আশেপাশের কোনও কিছু নিয়ে তাঁর মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। শচীন জানান, “ বিরাট নিজের ফোকাস ঠিক রেখে এভাবেই হৃদয় দিয়ে খেলুক। চারপাশে অনেক কিছু ঘটবে, প্রচুর কথা হবে। কিন্তু কেউ যদি লক্ষ্যে স্থির থাকে, তাহলে তার ফলাফল আসবেই।’’ নিজের প্রসঙ্গ টেনে শচীন বললেন, “আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যতই রান করি না কেন, সেটা কখনই যথেষ্ট নয়। বিরাটের ক্ষেত্রেও সেটাই। কিন্তু নিজের মধ্যে তৃপ্তি আসলেই পতনের শুরু। খুশি হওয়াই যায়, কিন্তু ব্যাটসম্যানের মধ্যে আত্মতুষ্টি যেন না আসে। একজন বোলার সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিতে পারে। কিন্তু ব্যাটসম্যান থামতে পারে না। সে এগিয়েই যায়। তাই আমি বলব তৃপ্তি যেন না আসে, বিরাট আনন্দের সঙ্গে খেলুক।’’
আরও পড়ুন: শচীন থেকে শোয়েব, বিরাটে মজে ক্রিকেটবিশ্ব
এজবাস্টনে ভারতের প্রথম ইনিংসে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজটাই করেছিলেন কোহলি। ২২৫টি বল খেলে ১৪৯ রান করেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী নকে ছিল ২২টি চার ও ১টি ছয়। কোহলির সৌজন্যে ভারত প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয়। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ও কেরিয়ারের ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেন বিরাট। এজবাস্টন উঠে দাঁড়িয়ে করতালিতে অভিনন্দন জানিয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন ও বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানকে। ২০১১-তে শচীনের পর প্রথম কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে এক নম্বর ব্যাটসম্যান হলেন বিরাট।