দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দল নির্বাচন! রোহিত শর্মা টেস্টে ওপেনার হিসেবে ফিরবেন কিনা, হার্দিক পাণ্ডিয়ার মতো তারকাকে টেস্ট থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় কিনা, লোকেশ রাহুল বাদ পড়বেন কিনা- এমন বিষয় নিয়েই সরগরম হওয়ার সম্ভবনা ছিল গোটা বিষ্য়ুদবার। তবে কার্যত নিঃশব্দেই দল নির্বাচন সম্পন্ন হল। দল নির্বাচনের আলোচনার ঢেউ বয়ে গেল একজনের দিকেই। মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনি পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে নাকি সরে দাঁড়াচ্ছেন, তাই নাকি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন। পুরো দিন এই জল্পনাতেই কেটে গেল ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন।
কোহলির একটি ট্যুইট ঘিরে জল্পনা শুরু। তারপর ধোনির সম্ভাব্য সাংবাদিক সম্মেলন। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলা অনন্ত গুজব নিয়ে অবশেষে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন স্বয়ং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী। সাংবাদিকদের নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্টে লিখে দিলেন, "একেই বলে জল্পনা।" সাক্ষীর টুইটের পরেই ধোনি-ভক্তদের কাকুতি মিনতি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
জল্পনা শুরু কোহলির টুইটে। যেখানে কোহলি ধোনি ও নিজের ছবি পোস্ট করে লিখে দিয়েছিলেন, "এই ম্য়াচটা আমি কোনওদিন ভুলতে পারব না। রাতটা সত্যিই স্পেশাল ছিল। এই মানুষটা আমাকে সত্যিকারের ফিটনেস টেস্ট দিতে বাধ্য করেছিল।" ঘটনাচক্রে, বহু আলোচিত ম্যাচটা আসলে ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের। সেই ছবিতে কোহলিকে দেখা যাচ্ছে হাঁটু গেড়ে বসে ব্যাট সোজা ধরে রেখেছেন মাথার উপরে। আর ধোনিকে দেখা যায় ব্যাট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন অনুজের দিকে।
কোহলির টুইটের পরেই বলাবলি শুরু হয়ে যায়, তাহলে কী ধোনির প্রতি ফেয়ারওয়েল টুইট এটা! সাক্ষীর টুইটের আগেই নির্বাচক প্রধান এমএস প্রসাদ আবার জানিয়ে দিয়েছিলেন, "ধোনির অবসর নিয়ে কোনও আপডেট নেই। খবরটি ভুল।" নির্বাচক প্রধানের বক্তব্যের পরেই সাক্ষীর টুইট শান্ত করে ধোনি সমর্থকদের।
Read the full article in ENGLISH