Sam Konstas on ‘Pink Test’: বিজিটি সিরিজে তাঁর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় অভিষেক হয়েছে। এই সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সকলের নজর টেনেছেন ওপেনার স্যাম কনস্টাস। কিন্তু, এই সিরিজের সিডনি টেস্টের সঙ্গে যে তাঁর পারিবারিক যোগাযোগ রয়েছে, তা অনেকেই জানতেন না। এবার, সেই রহস্য ফাঁস করলেন এই ১৯ বছরের তরুণ অজি ক্রিকেটার।
এই সিরিজের অংশ ছিল সিডনি টেস্ট। যা ২০০৯ সাল থেকে গোলাপি টেস্ট হিসাবে পালিত হচ্ছে। গ্লেন ম্যাকগ্রার স্ত্রী জেন ২০০৮ সালে স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধের পর মারা যান। তাঁর জন্য ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। অস্ট্রেলিয়া বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে। তারপরই গোলাপি টেস্টের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন কনস্টাস।
তিনি বলেছেন, 'এটি ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশনের কাছে একটি বিশেষ ইভেন্ট। আশা করি, আমরা ক্যানসার সম্পর্কে আরও সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারব। আরও অর্থ পাব। আমার খুড়তুতো ভাই লিউকেমিয়া এবং আমার ঠাকুরদা অন্ত্রের ক্যান্সারে মারা গেছেন। তাই আমরা সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে ক্যানসার নিরাময়ের জন্য কাজ করতে পারি।'
৫ টেস্টে মোট ৮,৩৭,৮৭৯ দর্শক উপস্থিত ছিলেন। সিডনি ক্রিকেট মাঠে প্রথম দিন এসেছিলেন ৪৭,৯৯৮ দর্শক। এটাই সিডনিতে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার টেস্টে সবচেয়ে বেশি দর্শকের উপস্থিতি। এর আগে সিডনিতে ২০০৩-০৪ সালের প্রথম দিন ৪৪,৯০১ জন দর্শক এসেছিলেন। যা ছিল রেকর্ড। ভারতীয় খেলোয়াড়রা সিডনির গোলাপি টেস্টের মর্যাদা রাখতে ম্যাচের তৃতীয় দিন গোলাপি চিহ্নযুক্ত সাদা শার্ট পরেছিলেন। আর, অজিরা গোটা সিডনি টেস্টে তাঁদের শার্টের পিছনে গোলাপি নম্বর লেখা জার্সি পরেছিলেন।
আরও পড়ুন- টেস্ট-কে জনপ্রিয় করতে বিরাট উদ্যোগ শাস্ত্রীর, দিলেন বিশেষজ্ঞের দাওয়াই
কনস্টাস সদ্যসমাপ্ত সিরিজে বেশ ভালো খেলেছেন। তিনি বলেছেন, 'সিরিজ বেশ ভালোভাবে শেষ হয়েছে। আমরা এই সিরিজে জয় পেয়েছি। আশাকরি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা এই জয়কে ছাপিয়ে যাব। এই দল আমাকে আমার স্বাভাবিক খেলা খেলতে দিয়েছে। প্যাট কামিন্স একজন দুর্দান্ত নেতা। আশা করি আমরা ভালো খেলা চালিয়ে যেতে পারব।'