Shoaib Malik-Sania Mirza divorce: শেষ হল শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্ক। আনুষ্ঠানিকভাবে যা শনিবার প্রকাশ্যে এল। কারণ, অনেকদিন ধরেই সানিয়া-শোয়েবের ডিভোর্স (Divorce) নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবুও একটা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল দুই তারকার সম্পর্ক। কারণ, বিয়ে ভাঙার ব্যাপারে না সানিয়া, না শোয়েব- কেউই মুখ খোলেননি। তবে, আকারে-ব্যবহারে বোঝা যাচ্ছিল যে দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক বোধহয় ঠিক নেই। দুই তারকা দম্পতির সম্পর্কে চিড় ধরেছে।
ইতিমধ্যেই শোয়েবের একাধিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদ এবং সানিয়া মির্জার আগে ২০০২ সালে আয়েশা সিদ্দিকিকেও বিয়ে করেছিলেন শোয়েব মালিক। সেই আয়েশা সিদ্দিকিও ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। ২০১০ সালের আয়েশার সঙ্গে শোয়েবের বিচ্ছেদ হয়। আর, সেই বছরই সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করেছিলেন শোয়েব। ২০১৮ সালে তাঁদের সন্তান ইজহানের জন্ম হয়। বলা হয়, আয়েশাকে বিচ্ছেদের জন্য ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন শোয়েব মালিক। এতেই শেষ নয়, এর মধ্যেই শোয়েবের বিরুদ্ধে পাক অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে। দুজনে এক ফটোশ্যুটে গিয়ে একসঙ্গে একাধিক ছবি তুলেছিলেন। অন্তরঙ্গ সেই ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল পাক মুলুকে।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া, ইনস্টাগ্রামে শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জার নিজেদের ছবি শেয়ার করার বহর কমতে থাকে। দুজনেই যেন কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তবে, শোয়েবকে বলির পাঁঠা করা হলেও, সানিয়া মির্জাও কিন্তু একেবারে নিষ্কলঙ্ক নন। ২০১০-এ শোয়েবের সঙ্গে বিয়ের আগে সানিয়া কার্যত বিয়ে সেরেই ফেলেছিলেন হায়দরাবাদেরই ব্যবসায়ী সোহরাব মির্জার সঙ্গে। বাগদানও হয়ে যায়। হায়দরাবাদের অগাধ পয়সাওয়ালা সুপার বেকারির মালিকের সন্তান তথা বাল্যবন্ধুর সঙ্গে সানিয়ার বিয়ে যখন প্রায় পাকা, সেই সময়েই এন্ট্রি নিয়ে সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করে নেন শোয়েব মালিক। অনেকটা ফিল্মি কায়দায়। আপাতত যাতে পূর্ণচ্ছেদ পড়ল শনিবার।
আরও পড়ুন- তিন তালাকেই হয়ত শেষ শোয়েব-সানিয়া সম্পর্ক! অভিনেত্রীকে নিকাহ করে নতুন ইনিংসে পাক ক্রিকেটার
তবে, শুধুমাত্র সোহরাব মির্জাই নন। বলিউডের অভিনেতা শাহিদ কাপুরের সঙ্গেও সানিয়া মির্জার অ্যাফেয়ার নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। রটে গিয়েছিল যে সানিয়া মির্জার সঙ্গে শাহিদ কাপুর ডেট করেন। তাঁদের একসঙ্গে একটি পাঁচতারা হোটেলেও দেখা গিয়েছিল। এমনকী, পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের 'কমিনে' ছবির শ্যুটিং সেটে শাহিদের সঙ্গে সানিয়া আট ঘণ্টা কাটিয়েওছিলেন। কিন্তু, সর্বসমক্ষে সানিয়া ও শাহিদ বারবার নিজেদের 'গুড ফ্রেন্ডস' বলে পরিচয় দিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন- তিন তালাকের আগেই তিন নম্বর বিয়ে! সানিয়ার সঙ্গে বিবাহিত জীবনেও শোয়েব জড়িয়েছেন পরপর পরকীয়ায়
শুধু কি তাই? টিম ইন্ডিয়ার তৎকালীন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গেও সানিয়া মির্জার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা বহুদূর গড়িয়েছিল। সেই জল্পনা উসকে দিয়ে সানিয়া ও যুবরাজ সিংকে একটি পার্টিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তবে, বলা হয় যে সানিয়া মির্জা ভালোবাসতেন একজন রুশ টেনিস তারকাকে। তিনি হলেন তাতার মুসলিম গোষ্ঠী মারাত সাফিন। এরপর সানিয়ার নাম জড়ায় দক্ষিণী সিনেমার নায়ক নবদীপ পালাপলুরের সঙ্গে। যদিও নবদীপ দাবি করেছেন যে সানিয়া তাঁর ভালো বন্ধু। তাঁরা সেই জন্য একসঙ্গে বেশ কয়েকবার সময় কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন- শোয়েব নয়, একতরফা ডিভোর্স দিয়েছেন সানিয়াই! বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন ক্রিকেটারের শ্বশুর
শুধু এঁরাই নন। সানিয়া নাকি তাঁর মেন্টর মহেশ ভূপতির সঙ্গেও প্রেম করতেন বলেই শোনা যায়। টেনিস কোর্টের বাইরেও রীতিমতো জনপ্রিয় সানিয়া-মহেশ জুটি ২০০৯ সালে মিক্সড ডাবলসে ভারতকে গ্র্যান্ড স্ল্যামও এনে দিয়েছিল।