সম্প্রচারের সময় লাইভ টিভিতে অন্য ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে অসম্মান করে বসলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হতে হল মঞ্জরেকরকে। তৃতীয় দিন ইডেনে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ চালাকালীনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারতীয় ক্রিকেট। গোলাপি বলের দৃশ্যমানতা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন মঞ্জরেকর ও হর্ষ ভোগলে। তারপরেই মঞ্জরেকর সাফ জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে।
সম্প্রচারের সময় গোলাপি বলের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনায় মেতেছিলেন দুই ধারাভাষ্যকার। সেই সময়েই বলের দৃশ্যমানতা প্রসঙ্গে হর্ষ ভোগলে জানান, "বলের পোস্ট মর্টেম করা হলে দৃশ্যমানতার বিষয়টি দেখতে হবে।" মঞ্জরেকর অবশ্য ভোগলেকে প্রকাশ্যে ঠুকে জানিয়ে দেন, "আমার মনে হয়না, এটা কোনও ইস্যু।"
তারপরেই ভোগলের সংযোজন ছিল, "ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করতে হবে এই বিষয়ে ওদের বক্তব্য কী!" এরপরে মঞ্জরেকর বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে বলেন, "তোমার উচিত এমন কাউকে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন যাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন। এটা স্পষ্ট যে বল ভালমতোই দেখা যাচ্ছে।"
ভোগলে অবশ্য সঞ্জয় মঞ্জরেকরের খোঁচা পাত্তা না দিয়ে বলে দেন, "আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। নাহলে আমরা টি২০ ক্রিকেট দেখতে পেতাম না।" এরপরে মঞ্জরেকরের জবাব ছিল, "পয়েন্ট বুঝেছি। তবে এতে কোনওভাবেই সম্মত হচ্ছি না।" প্রসঙ্গত, মঞ্জরেকর জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ৩৭টি টেস্ট খেলেছিলেন।
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্জয় মঞ্জরেকরের আচরণ নিন্দা করেন ক্রিকেট ভক্তরা।
Read the full article in ENGLISH