Saudi Arabia to Host FIFA World Cup 2034: ২০৩৪-এ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব। ২০৩০-এ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব একসঙ্গে পেল স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো। এমনটাই সরকারিভাবে জানিয়ে দিল ফিফা। মেগা এই ইভেন্টে শতবর্ষে পা দিচ্ছে ২০৩০-এর সংস্করণে।
সেই বিষয়টিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ছয়টা আলাদা আলাদা দেশে, তিনটে ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে বসবে এই শো-পিস ইভেন্টের আসর। মূল ইভেন্টের ম্যাচ হবে স্পেন, পর্তুগাল, মেক্সিকোয়। সেই সঙ্গে ২০৩০-এর শতবর্ষ ম্যাচ গুলি আয়োজন করবে দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়ে।
২০৩৪-এ এশিয়ান গেমস এবং ২০২৭-এ এএফসি এশিয়ান কাপ-এর আয়োজক দেশের দায়িত্ব আগেই পেয়েছে সৌদি আরব। এবার সরাসরি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হল তেলের টাকায় ধনী এই দেশকে। কয়েকদিন আগেই আইপিএল নিলামের আসর বসেছিল সৌদি আরবের জেড্ডায়। সেই দেশেই এবার হতে চলেছে ফিফা বিশ্বকাপ।
২০২৩-এর অক্টোবরে ফিফার তরফে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী দেশের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল ২৫ দিনের ডেডলাইন। সৌদির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াও ছিল ফেভারিট। তবে ২০২৬-এ ওমেন্স এশিয়ান কাপ এবং ২০২৬-এ ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার জন্য বিশ্বকাপ আয়োজন হওয়ার লড়াই থেকে নাম তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তারপরে সৌদির তরফে আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: এই ব্যক্তির জন্যই লাবুশেনকে মারতে যান সিরাজ! টেস্ট শেষ, মুখ খুললেন সেই 'নারদ'
বিশ্বকাপ আয়োজনে উৎসাহী ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা মেক্সিকোও সম্মিলীতভাবে। তবে ফিফার তরফে সৌদিকে দেওয়া হয় সর্বাধিক রেটিং- ৪.৫। অন্যদিকে মেক্সিকো-কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হয় ৪।
সৌদি আরবের লিগে খেলা আল নাসের কিংবদন্তী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সরাসরি সৌদির বিশ্বকাপ আয়োজন-প্রাপ্তিতে মুখ খুলেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থনের বার্তা দিয়েছিলেন এই দেশকে। তিনি সৌদিকে নিজের দ্বিতীয় দেশ বলে মানেন। তাঁর নিজের দেশ পর্তুগাল যেমন বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে। দ্বিতীয় দেশও ফুটবল যজ্ঞের স্বাদ পেতে চলেছে।
আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বরাবর সরব আন্তর্জাতিক প্ৰতিষ্ঠা গুলো। তবে বিশ্বকাপের আয়োজনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনায় আনেনি ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আন্তর্জাতিক একাধিক সংগঠন ফিফাকে সেই বিষয় তুলে ধরে সতর্কবার্তা দিয়েছিল। তবে ফিফা কিছুই ধর্তব্যের মধ্যে আনেনি।