ইস্টবেঙ্গল: ০
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড: ২ (সুরচন্দ্র-আত্মঘাতী, রচারজেলা)
জোড়া পেনাল্টির ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত। সেই সঙ্গে হারের হ্যাটট্রিকও করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের নির্যাস আপাতত এই টুকুই।
তবে শুধুই পেনাল্টি মিসই নয়, একাধিক সুযোগ নষ্ট করেই এদিন ম্যাচে ফের হতাশা উপহার দিল ফাউলারের ছেলেরা। ২০ মিনিটের মাথাতেই যত ঘটনা। আশুতোষ মেহতা বক্সের মধ্যেই পরিষ্কার ফাউল করে বসেছিলেন মাঘোমাকে। তবে অবাক করে পেনাল্টির আবেদনে সাড়াই দিলেন না রেফারি। যা দেখে সাইড লাইন থেকেই রাগে ফেটে পড়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাউলার।
পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ১৩ মিনিট পরেই গোল হজম করে বসে লাল হলুদ দল। মেইতেই নিজের অর্ধে পাস বাড়ান। সেই পাস কয়েক জনের পা ঘুরে কেসি এপিয়া র কাছে আসে। তিনি ক্রশ বাড়ালে সেই শট সুরচন্দ্রর পায়ে লেগে নিজেদের গোলেই ঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তন ঘটান কোচ ফাউলার। বলবন্তকে তুলে নামান বিনীতকে। ৫৯ মিনিটে ফের একবার পেনাল্টি নাকচ হয় ইস্টবেঙ্গলের। নর্থ ইস্ট ডিফেন্ডার গুরজিন্দর কুমার ফাউল করেন মাঘোমাকে। তবে এক্ষেত্রেও পেনাল্টি দেননি আম্পায়ার
৭৫ মিনিটে মরিয়া হয়ে ফাউলার লিংডোকে নামিয়ে দেন। তবে সমতা ফেরাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে সংযোজিত সময়ে রোচরজেলা গোল করে স্কোরলাইন ২-০ করে দেন।
ইস্টবেঙ্গল: দেবজিত মজুমদার, নারায়ণ দাস (অভিষেক আম্বেকর), স্কট নেভিল, মহম্মদ ইরশাদ (লিংডো), সুরচন্দ্র সিং, শেহনাজ সিং, পিকলিংটন, জ্যাকুয়েস মাঘোমা, ওয়াহিনবাম লুয়াং (মহম্মদ রফিক), ম্যাটি স্টাইনম্যান, বলবন্ত সিং (সিকে বিনীত)
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড:
গুরমিত, বেঞ্জামিন ল্যাম্বোট, আশুতোষ মেহতা (প্রভাত লাকরা), গুরজিন্দর কুমার, মাসুর শরীফ (রোচরাজেলা), লালেনমাওয়া, খাসা কামারা, লুইস মাচাদো (ডিলান ফক্স), ইদ্রিস সাইলা, এপিয়া, মিইতেই
আরো পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলারদের কোচিংটাই নেই, বিশ্রী হারের পরেই মেজাজ হারালেন ফাউলার
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন