Shakib Al Hasan Bangladesh Cricket Team: তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে কার্যত বাধ্যতামূলক অবসরের দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রতিবাদে আইসিসিকে ইমেল পাঠিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ জানালেন সাকিবের ভক্তরা। আইসিসিকে পাঠানো তাঁদের ইমেলে সাকিব ভক্তরা বলেছেন যে, তারকা ক্রিকেটারকে অন্যায়ভাবে বাংলাদেশ দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তাঁকে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত ১০ থেকে ১২ হাজার ইমেল সাকিব ভক্তরা আইসিসির কাজে পাঠাতে চান। তাঁদের আশা, এই বিপুল পরিমাণ ইমেল আইসিসির কাছে পাঠালে শীর্ষ ক্রিকেট সংস্থার টনক নড়তে বাধ্য।
সোমবার থেকে ঢাকার মিরপুরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। এই টেস্ট খেলে সাকিব অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই অবসরের টেস্ট-এ খেলতেও তারকা ক্রিকেটারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। আর, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে। এটাই সাকিব ভক্তদের ক্ষোভের কারণ। আইসিসিকে পাঠানো ইমেলের একটিতে লেখা হয়েছে, 'দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য, সাকিব আল হাসানকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তাঁর শেষ টেস্ট খেলতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কারণে সাকিবকে তাঁর নিজের দেশে খেলতে নিষেধ করেছে। আমরা এই পরিস্থিতির তদন্ত করে বিসিবির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইসিসির কাছে জরুরি ভিত্তিতে আবেদন জানাচ্ছি।'
সাকিব ভক্তদের এই গণইমেল পাঠানোর কারণ, আইসিসি- অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থার মতই রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে। ঢাকার মিরপুর টেস্ট থেকে সাকিবকে ক্রিকেটীয় অক্ষমতার কারণে বাদ দেওয়া হয়নি। বরং রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সাকিবের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা উদ্বিগ্ন। সাকিব বাংলাদেশের আগের সরকারের সাংসদ ছিলেন। আওয়ামি লিগের সাংসদ হওয়ায় তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের চক্ষুশূল।
আরও পড়ুন- ক্যালিসের মত বিশ্বসেরা সাকিবও! কিংবদন্তির সঙ্গে বাংলাদেশি তারকার তুলনায় ঝড় তুললেন টাইগার কোচ
তারপরও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিবকে ঘরের মাটিতে তাঁর বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, ক্রমবর্ধমান প্রতিবাদ এবং বিরোধিতা সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে। এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে তাঁর নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সাকিবকে আপাতত বাংলাদেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছে সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।