Advertisment

Shakib Al Hasan: বাংলাদেশে আর ফিরব না! ফেয়ারওয়েল টেস্ট না খেলেই বড় সিদ্ধান্ত সাকিবের

Shakib Al Hasan farewell test: সাকিব বাংলাদেশে ফিরবেন, এই বার্তা পাওয়ার পরই অশান্তি শুরু হয়েছে ঢাকায়। বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যাতে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

author-image
IE Bangla Sports Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Shakib Al Hasan farewell test, সাকিব আল হাসানের বিদায়ী টেস্ট,

Shakib Al Hasan farewell test: বিদায়ী টেস্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব আল হাসান। (ছবি- টুইটার)

Bang squad for South Africa Test, Shakib Al Hasan farewell: বাংলাদেশ ফিরছেন না সাকিব আল হাসান। তাঁকে নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় বিক্ষোভ চলছে। ২১ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট-এ বাংলাদেশ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। তিনি আগেই জানিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ টেস্ট হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের তাঁর পাশে থাকারও আহ্বান জানিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। কিন্তু, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি মত বদলাচ্ছেন। সাকিব বলেছেন, 'আমি বাড়ি যাচ্ছি না'। অর্থাৎ, তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন না।

Advertisment

ভারতের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট-এর সিরিজ চলাকালীনই সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, এরপর সাকিব ইস্যুতে বাংলাদেশে বিক্ষোভ বেড়ে যায়। হাসিনা সরকারকে অপসারণের পর বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা সেদেশে তদারকি সরকার গড়ে তুলেছেন। সেই সরকারের ঘনিষ্ঠরাই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবির দেখভাল করে। হাসিনা সরকারের জমানায় শাসক দল আওয়ামি লিগের এমপি ছিলেন সাকিব। তাঁর সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্ক সেই কারণেই খারাপ।   

আরও পড়ুন- IPL-এ ঠিক হয়ে গেল রোহিতের দল! অপমানের মুম্বইয়ে হিটম্যানের ভাগ্য চূড়ান্ত

এর মধ্যেই সাকিবের নাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে রেখেছেন বিসিবির কর্তারা। সেই ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমে সাকিব বলেছেন, 'আমি এরপর কোথায় যাব, জানি না। তবে বাড়ি যাচ্ছি না।' এই বাড়ি বলতে তিনি যে বাংলাদেশকেই বোঝাতে চেয়েছেন, একথা বুঝতে অবশ্য কারও বাকি থাকেনি। এর আগে বাংলাদেশে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে আওয়ামি লিগ ১৫ বছর পর ৫ অগাস্ট সরে যেতেই, আওয়ামি লিগ নেতাদের গ্রেফতার শুরু হয়। এরপরই সাকিব বাংলাদেশে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ, একটি হত্যাকাণ্ডে বিরোধীরা যে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল, তার মধ্যে মাগুরার সাংসদ সাকিবও ছিলেন।  

তবে, এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের নির্বাচকরা প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে সাকিবকে দলে রেখেছেন। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক গাজি আশরাফ হোসেন বলেছেন, সাকিবকে দলে রাখা যাবে না। এমন কোনও নির্দেশ বোর্ড তাঁদের দেয়নি। শুধু তাই নয়, নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছেন, বোর্ডের সবুজ সংকেত পেয়েই তাঁরা সাকিবকে দলে রেখেছেন। সাকিবকে দলে রাখার খবর পেয়েই বুধবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী বাংলাদেশে বিক্ষোভ দেখান। 'মিরপুর ছাত্র জনতা' ছাত্র জনতা নামে একটি সংগঠন জানায় যে সাকিব যদি বাংলাদেশে খেলতে আসেন, তবে তাঁরা স্টেডিয়ামে বিক্ষোভ দেখাবেন। এরপরই মত বদলান বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।

এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে' তিনি সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে মাহমুদ বলেছেন, 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি সাকিবকে বাংলাদেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'

Bangladesh Test cricket Cricket News Shakib Al-Hasan
Advertisment