কলকাতায় একদিনের সফরে এসে কালীপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। সেই কারণে এবার ফেসবুক লাইভ করে দা দিয়ে কোপানোর হুমকি এল বাংলাদেশ থেকে। কলকাতায় পুজোর উদ্বোধন করার পর থেকেই প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন।
মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার। শেষে বিতর্কের অবসান ঘটাতে ক্ষমাও চেয়ে নেন শাকিব। তবে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হল না। সরাসরি ফেসবুক লাইভ করে সাকিবকে দা দিয়ে কোপানোর হুমকি দিলেন জনৈক বাংলাদেশি মৌলবাদী।
আরো পড়ুন: কালীপুজো উদ্বোধনে সাকিব, চমক দিল কলকাতার বিখ্যাত পুজো
গত সপ্তাহে কাঁকুরগাছির তৃণমূল নেতা পরেশ পালের আমন্ত্রণে বিখ্যাত কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বাংলাদেশি তারকা।
পুজোর উদ্বোধন করে শুক্রবারই বাংলাদেশে ফিরে যান তিনি। বাংলাদেশেও একাধিক প্রচারমাধ্যমে সাকিবের ভারত সফরে এই কালীপুজোর উদ্বোধন নিয়ে লেখা হয়েছিল। এই খবর বাংলাদেশি প্রচার মাধ্যমে কনফার্ম করেন পুজোর আয়োজক কমিটির অন্যতম কর্তা পরেশ পাল। বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন শাকিব। ভারতে প্রবেশের আগে পরিচিত কাস্টমস অফিসার আজিজুর রাহমানের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎও সারেন তিনি।
সাকিবের মত তারকা ক্রিকেটারের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই কারণে সীমান্তে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সাকিবকে একবার দেখার জন্য বেনাপোল সীমান্তে জড়ো হয়েছিলেন বহু ক্রিকেটপ্রেমী। তবে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি পেরিয়ে প্রিয় তারকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়ে ওঠেনি তাদের।
ভারত, বাংলাদেশ দুই দেশেই সাকিব অত্যন্ত জনপ্রিয়। এমনিতে বিদেশিদের এদেশে প্রবেশ নিয়ে করোনা কালে বেশ কড়াকড়ি রয়েছে। তা সত্ত্বেও সাকিবের ভিসা মঞ্জুর করে ভারতীয় দূতাবাস।
সাকিবের পুজো উদ্বোধন নিয়ে বাংলাদেশে রীতিমত জলঘোলা হচ্ছিল। সিলেটের সাহপুর তালুকদার পাড়ার মহসিন তালুকদার নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে রীতিমত দা হাতে নিয়ে তাঁকে টুকরো করে কাটার ভয়ঙ্কর হুমকি দেয়। এ জন্য প্রয়োজনে সিলেট থেকে ঢাকা পর্যন্ত হেঁটে যাবে সে।
গতকাল সোমবার সন্ধেয় মিরপুরে শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করছিলেন। সেই সময়েও সাকিবকে বেশ কিছু সমর্থক অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে।
পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শাকিব শেষ পর্যন্ত লাইভে এসে ক্ষমা চান। বলেন, একজন সচেতন মুসলিম হিসাবে তিনি কোনোদিন পুজো উদ্বোধন করেননি। কাকুরগাছির পুজো তার যাওয়ার আগেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছিল, বলে দাবি করেন তারকা অলরাউন্ডার।
ক্ষমাপ্রার্থী শাকিব জানান, "তারপরেও আমার ওখানে যাওয়াটাই ঠিক হয়নি বলে যদি আপনাদের মনে হয়, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। মনেকরি, আপনারা এটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই চেষ্টা করব। আমার কোনও অভিপ্রায় ছিল না নিজের ধর্মকে ছোট করে অন্য ধর্মকে বড় করার।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন