Shakib’s Parents Pay a Visit to Tamim at the Hospital: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দেখতে সাভার ইপিজেড এলাকার কেপিজে হাসপাতালে গেলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মা-বাবা। বাংলাদেশের প্রাক্তন সংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা ও মা শিরিন আক্তার মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে যান তামিমকে দেখতে।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা সাংবাদিকদের জানান যে তামিম ইকবাল তাঁর ছেলের মত। তিনি বলেন, 'তামিমের বাবা আমার ছেলেবেলার বন্ধু। তামিমের মায়ের বিয়ের আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল।' এর আগে, গতকাল নিজের ভেরিফায়েড অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের এক পোস্টে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবালকে 'ভাই ও বন্ধু' বলে সম্বোধন করে লিখেছিলেন, 'আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই। কারণ, আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি। অনেক স্মৃতি আছে। আর সবসময়ই চাইব আমাদের এই পথচলা যেন আরও দীর্ঘ হয়।'
একইসঙ্গে ওই বার্তায় সাকিব লেখেন, 'তামিমের জন্য আপনাদের প্রার্থনাই হবে, আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।' আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি পটপরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাকিব বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি। তিনি দেশের বাইরে থাকছেন।
এর মধ্যেই, গতকাল সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে গিয়ে মাঠেই অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। পরে পাশেই কেপিজে হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার অবশ্য তামিমের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তিনি তাঁর অনুভূতি পোস্টও করেছেন।
আরও পড়ুন- হিরোদের ফিরে আসতে হয় আরও শক্তিশালী হয়ে, তামিমকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া তারকাদের
তামিম লিখেছেন, 'দুই বছর আগে এই রোজার সময়েই অনুপের কাছে গিয়েছিলাম। সেদিন জানতে পারলাম, অনুপের বাবা ৪ বছরেও হার্টের অপারেশন করাতে পারেননি। হৃদয়ের স্পন্দনই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই স্পন্দন যে কোন ঘোষণা না করেই থেমে যেতে পারে— এই কথাটি আমরা বারবার ভুলে যাই। গতকাল দিন শুরু হওয়ার সময় আমি কী জানতাম যে, আমার সঙ্গে কী হতে যাচ্ছে? আল্লাহতা’আলার অশেষ রহমত আর সকলের দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি। আমার সৌভাগ্য, এই বিপদের সময়ে আমি পাশে কিছু অসাধারণ মানুষকে পেয়েছি, যাঁদের বিচক্ষণতা এবং আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আমি এই সংকট কাটিয়ে ফিরে এসেছি। কিছু ঘটনা আমাদের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, জানিয়ে দেয় যে জীবন আসলে ঠিক কতটা ছোট। আর এই ছোট জীবনে আর কিছু করতে পারি ছাই না পারি, সবাই যেন একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়ায়— এটিই আমার অনুরোধ। আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা। সবাই আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করবেন। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না।'
গোটা বাংলাদেশ বর্তমানে অশান্ত। সেই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশবাসী তামিম ইকবালের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমাজের বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া থেকেই তা স্পষ্ট হয়েছে।