marnus labuschagne field placement: শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে ফিল্ডিং সাজাতে গিয়ে রীতিমতো দর্শক হাসালেন কুইন্সল্যান্ড অধিনায়ক মার্নাশ লাবুশেন। তিনি আম্পায়ারের ঠিক পিছনে সতীর্থ ফিল্ডারকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন। অবশ্য এবারই প্রথম নয়। মাঠে খেলার পাশাপাশি লাবুশেনের উদ্ভট কাণ্ডকারখানা এভাবেই মাঠে দর্শকদের হাসায়। চলতি শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হল না।
পার্থের পিচে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ম্যাচে কুইন্সল্যান্ড ভালোই খেলছিল। টস জিতে ফিল্ডিং নেন লাবুশেন। সিদ্ধান্ত যে কাজে লেগেছে বুঝিয়ে দেন তাঁর বোলাররা। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দেন কুইন্সল্যান্ড পেসার মাইকেল নেসার। তিনি ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে ০ রানে, জেডেন গুডউইনকে ০ রানে এবং মিচেল মার্শকে ১৩ রানে ফিরিয়ে দেন। স্পিনার মিচেল সুইপসন আবার ৩৮ রানে আউট করেন হিলটন কার্টরাইটকে। কিন্তু, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্যাম হোয়াইটম্যান ও উইকেটকিপার জোশ ইংলিস কুইন্সল্যান্ডকে রুখে দেন। দু'জনে মিলে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করেন।
এরপরই আসরে নামেন লাবুশেন। তখন ৬৬তম ওভার। সেটা ছিল লাবুশেনের দ্বিতীয় ওভার। সেই সময় লাবুশেন এক ফিল্ডারকে সরাসরি আম্পায়ারের পিছনে দাঁড় করান, যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। অন-ফিল্ড আম্পায়ার ফিরে ব্যাপারটা দেখে অবাক হয়ে যান। লাবুশেন তখন আবার সেই অস্বস্তি কাটাতে ওই ফিল্ডারকে সরিয়ে আম্পায়ারের বাম দিকে নিয়ে যান। যা দেখে দর্শকরাও হেসে ওঠেন।
আরও পড়ুন- ভারতের কাছে লজ্জাজনক হারের জের! সিরিজের মাঝপথেই অবসর বাংলাদেশি কিংবদন্তির
তিন ওভার বল করে, বাউন্সার দিয়ে লাবুশেন দুটো মেডেন পান। কিন্তু, তার বাইরে ওই ভাবে ফিল্ডারকে নিয়ে হাস্যকর কাণ্ডকারখানা করে কিন্তু, তাঁর বিরাট কোনও লাভ হয়নি। সেই সময় ইলিংস ৮৩ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১২২ রান করেন। আর, স্যাম হোয়াইটম্যান করেন ১০২ রান। পাশাপাশি, কুপার কনোলি এবং ক্যামেরন গ্যাননও হাফ সেঞ্চুরি করেন। তবে, লাবুশেনও একটা উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু, সেটা গ্যাননের। আর, ওটা অষ্টম উইকেটে তিনি জুটি ভেঙেছেন। ইলিংসকে বরং আউট করেছেন ম্যাট রেনশোর। আর, হোয়াইটম্যানকে ফিরিয়েছেন নেসার।