বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি। ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়। অবশেষে নিজের দাম্পত্য কাহিনী নিয়ে মুখ খুললেন শিখর ধাওয়ান। ২০১২-য় অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাঙালি শিখর ধাওয়ানের বিয়ে হয়। ২০১৪-য় তাঁদের এক সন্তানও হয়, জোরোভার।
স্পোর্টস টক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিখর ধাওয়ান জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি ব্যর্থ হয়েছি। কারণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সেই ব্যক্তিরই। আমি ব্যর্থ হয়েছি, কারণ মাঠের এই দিকটা সম্পর্কে আমি অবহিত ছিলাম না। ক্রিকেট নিয়ে যে বিষয় আজ বলতে পারি, ২০ বছর আগে তা পারতাম না। এর জন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয়।"
তারকা ক্রিকেটার জানান, তাঁর ডিভোর্সের বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ভবিষ্যতে আবার তিনি বিয়ে করতে পারেন। ধাওয়ানের সংযোজন, "এই মুহূর্তে আমার ডিভোর্সের মামলা চলছে। আগামীকাল যদি আমি বিয়ে করতে চাই, তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত থাকব। আমি এখন বুঝি, কীরকম মেয়ের সঙ্গে থাকতে পারব, গোটা জীবন কাটাতে পারব একসঙ্গে।"
"যখন ২৬-২৭ বয়স ছিল, তখন চুটিয়ে ক্রিকেটটাই খেলতাম। কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়িনি। মজা করতাম। তবে কখনও সম্পর্কে জড়াইনি। তাই যখন ভালবাসায় জড়ালাম, তখন খারাপ দিকটা উপেক্ষা করেছি। এখন আবার প্রেমে পড়লে সেই বিষয়গুলো খেয়াল করব। যদি সেরকম সঙ্কেত বুঝতে পারি, তাহলে বেরিয়ে আসব। এভাবেই জীবন অতিবাহিত করব।"
তরুণদের তাড়াহুড়ো করে বিয়ে না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। "তরুণরা যখন সম্পর্কে জড়ায়, তখন তাদের বলব পুরো বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে। তাড়াহুড়ো করে আবেগের বশে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করব। যাঁর সঙ্গে সময় কাটাবে, তাঁর সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে বোঝার চেষ্টা করো, সারা জীবন তাঁর সঙ্গে থাকতে পারবে কিনা। একে অন্যের সংস্কৃতি খাপ খাওয়াতে পারছ কিনা, একে অন্যের সান্নিধ্য উপভোগ করছ কিনা, দেখ।"
"পুরো বিষয়টি খাপ খাওয়ানোর ওপর নির্ভর করছে। কারোর প্রকৃত সঙ্গী খুঁজে পেতে ৪-৫ বার সম্পর্ক প্রয়োজন হয়, কারোর আবার ৮-৯ টা সম্পর্ক লাগে। প্রতিটা সম্পর্কই আমাদের শিক্ষা দিয়ে যায়। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তোমার তখন যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে।" বলে দিয়েছেন ধাওয়ান।
Read the full article in ENGLISH