বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারতের বিদায়ের পরেই দু'টো ইস্য়ু সামনে এসেছে। ফ্য়ান থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ মনে করছেন যে, কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর বদলে এবার অন্য় কেউ টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিক। পাশাপাশি অনেকেই চাইছেন যে, বিরাট কোহলির বদলে ভারতের ক্য়াপ্টেনসির ব্য়াটন উঠুক রোহিত শর্মার হাতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কী করে বিরাট কোহলিকেই ক্য়াপ্টেন করে রেখে দিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড? এই মর্মেও প্রশ্ন তুলেছেন।জাতীয় এক সংবাদ মাধ্য়মে তাঁর নিজস্ব কলামে লিটল মাস্টার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি লিখেছিলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দল নির্বাচনের সময় কোনও বৈঠক ছাড়াই কোহলিকে নেতা বানিয়ে দেওয়া হলো। এতে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, বিরাট কোহলি কী নিজের ইচ্ছমতো অধিনায়ক হচ্ছেন, নাকি নির্বাচক কমিটির দাক্ষিণ্যে? সুনীল গাভাস্কর। কিন্ত কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। মঙ্গলবার টুইটারে তিনি একটি ১৫ মিনিটের প্রশ্নোত্তরের আসর রেখেছিলেন ফ্য়ানেদের জন্য়। সেখানে আখতারের কাছে ডক্টর আকিল রাজা নামের একটি টুইটার থেকে প্রশ্ন করা হয়, রোহিত শর্মা কি বিরাট কোহলির পরিবর্তে ভারতের অধিনায়ক হবেন। দু'টি শব্দেই আখতার তাঁর উত্তর দেন। তিনি বলেন, "প্রয়োজন নেই।"
আরও পড়ুন: ‘স্য়ার’ সম্বোধন করেই গাভাস্করকে ধুয়ে দিলেন মঞ্জরেকর, দাঁড়ালেন বিরাট কোহলির রক্ষাকবচ হয়ে
Will Rohit Sharma replace Kohli as captain of India?? #AskShoaibAkhtar
— Dr. Aqeel Raja (@DrAqeelRaja) July 29, 2019
Not required
— Shoaib Akhtar (@shoaib100mph) July 29, 2019
এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে একটা অর্ন্তকলহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর টিম ইন্ডিয়ায় এখন দু'টো গোষ্ঠী হয়ে গিয়েছে। একটা বিরাটের ও অন্য়টি রোহিতের। এই দুই ক্রিকেটারের মধ্য়েও সম্পর্কে ফাটল ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। শোনা গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই ভারতীয় দল বিশ্বকাপে ভাল পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারেনি। দুই তারকার লবি নিয়েই নাকি যত ঝামেলার সূত্রপাত। বিরাট কোহলি-রবি শাস্ত্রীর সুনজরে থাকা ক্রিকেটাররাই প্রথম একাদশে নিশ্চিত থাকতেন অধিকাংশ সময়েই। অন্য দিকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ক্রিকেটাকদের নেতা ছিলেন স্বয়ং রোহিত শর্মা। কোহলির প্রতি আনুগত্যের কারণেই নাকি দলে সুযোগ পেতেন যুজবেন্দ্র চাহাল, বিজয়শঙ্কর এবং লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে, আম্বাতি রায়াডুদের মতো ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়া পিছনেও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।