পরের মাসেই যুব বিশ্বকাপের আসর বসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। বিশ্বকাপের দল দু-দিন আগেই বেছে নিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। দলের নেতৃত্ব দেবেন ইয়াশ ধুল। দলের একাধিক তারকা কঠোর পরিশ্রম করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। অধিনায়ক ইয়াশ ধুল-ই যেমন। তবে গাজিয়াবাদের সিদ্ধার্থ যাদবের যুব বিশ্বকাপগামী দলে সুযোগ পাওয়া সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে।
বাবা শ্রাবণ যাদব গাজিয়াবাদে মুদিখানার দোকান চালান। নিজে ক্রিকেট খেলে একটা সময় বহুদূরের স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। নেট বোলার হয়েই স্বপ্নপূরণ অধরা রয়ে গিয়েছে। বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করে সিদ্ধার্থ অবশ্য রূপকথা গড়ে ফেলেছেন। আমিরশাহিতে এশিয়া কাপ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ- জোড়া স্কোয়াডেই নাম রয়েছে সিদ্ধার্থের।
আরও পড়ুন: কোহলি বড্ড লড়াই করে! প্রশংসা করেও প্রকাশ্যে বিরাট কটাক্ষ সৌরভের
কেমন করে ছেলের বিশ্বকাপ স্বপ্নের অংশ হয়ে গেলেন তিনি, সেকথা জানাতে গিয়েই সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থের পিতা শ্রাবণ যাদব জানিয়েছেন, ছেলে যেদিন প্ৰথমবার ব্যাট হাতে নিয়েছিল, ডান হাতে নয়, বাঁ হাতে স্ট্যান্স নিয়েছিল। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি, বাঁ হাতের জাদুতে কামাল করেছেন উঠতি তারকা।
আত্মত্যাগ করেছেন বাবা শ্রাবণ। সেই কথাই সাক্ষাৎকারের ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠল। আট বছর বয়স থেকে সিরিয়াসলি ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছেন সিদ্ধার্থ। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে মুদি খানার দোকান বন্ধ রাখতে হত প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে। যাতে তিনি নিজে হাতে ছেলেকে ক্রিকেটের প্রাথমিক তালিম দিতে পারেন।
সিদ্ধার্থের আগেও ছোট শহর থেকে একাধিক তারকা দেশের ক্রিকেট মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির উঠে আসা তো ভারতীয় ক্রিকেটে লোকগাঁথা হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই ছোট শহর থেকে ক্রিকেটারদের উত্থানে লেগে থাকে অনেক সংগ্রামের গল্প, ঘাম-রক্তের কাহিনী। সিদ্ধার্থের কাহিনীও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এমনটাই আশা করছে ভারতীয় ক্রিকেট।
২০২০-তে যুব বিশ্বকাপে ভারত অল্পের জন্য হারে বাংলাদেশের কাছে। তার আগে ২০১৮-য় ভারত চতুর্থ বারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়। সিদ্ধার্থদের ভারত নতুন করে কী রূপকথা লেখে, সেটাই আপাতত দেখার।
Read the full article in ENGLISH