Snehasish Ganguly Puri Mishap: 'যেন পুনর্জন্ম হল...', দুর্ঘটনার কথা মনে পড়তেই শিউরে উঠছেন সৌরভের দাদা

Snehasish Ganguly: পুরীতে গিয়ে বোট দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কলকাতায় ফিরে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তিনি শেয়ার করলেন।

Snehasish Ganguly: পুরীতে গিয়ে বোট দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কলকাতায় ফিরে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তিনি শেয়ার করলেন।

author-image
Koushik Biswas
New Update
Snehasish Ganguly Boat Capsized

পুরীতে বোট দুর্ঘটনার কথা শেয়ার করলেন স্নেহাশিস

Snehasish Ganguly: প্রতি বছরই পুরী বেড়াতে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা তথা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যতিক্রম হয়নি এই বছরও। স্ত্রী অর্পিতাকে নিয়ে তিনি পুরী (Puri sea mishap) গিয়েছিলেন। আর সেখানেই ঘটেছে এক মারাত্মক দুর্ঘটনা। মাঝ সমুদ্রে আচমকাই উল্টে যায় তাঁদের স্পিডবোট! কোনওক্রমে তাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন। কলকাতায় ফিরে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করলেন স্নেহাশিস।

Advertisment

কী হয়েছিল পুরীর সমুদ্রে? কীভাবেই বা উল্টে গেল স্পিডবোট? জবাব দিতে গিয়ে স্নেহাশিসের চোখে-মুখে কার্যত আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পাওয়া গেল। তিনি বলেন, 'বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আমরা একটা স্পিডবোটে উঠেছিলাম। আমাদের সঙ্গে আরও একজন দম্পতি ছিল। বেশ খানিক দুরে যাওয়ার পর একটা বড় ঢেউ আমাদের নৌকার গায়ে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বোটটা উল্টে যায়।'

Snehasish Ganguly Accident: উত্তাল মাঝসমুদ্রে উল্টে গেল স্পিডবোট, মৃত্যুমুখ থেকে ফিরলেন সৌরভের দাদা-বৌদি

স্নেহাশিসের কথায়, 'প্রথমে যে কী হচ্ছে, সেটাই আমরা বুঝতে পারছিলাম না। আমরা সকলে জলের নীচে ছিলাম। আর আমাদের মাথার উপরে ছিল বোটটা। এরপর আরও একটি ঢেউ ঝাপটা দেয়। আর সেকারণে মাথার উপর থেকে বোটটা সরে গিয়েছিল। এটাই আমাদের কাছে বাঁচার সুযোগ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন লাইফগার্ড এগিয়ে আসেন। এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমাদের উদ্ধার করেন। মনে হচ্ছিল, এটা বোধহয় আমাদের পুনর্জন্ম হল।'

Advertisment

সঙ্গে আরও যোগ করলেন, 'পুরী (Puri Sea Beach) যাওয়াটা আমাদের কাছে নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত ৩১ বছর ধরেই আমি পুরী যাচ্ছি। জগন্নাথদেবের পুজো দিচ্ছি। কিন্তু, শনিবার বিকেলবেলা আচমকাই সিদ্ধান্ত নিই যে সমুদ্রে যাব। কেন যে এমন সিদ্ধান্ত নিলাম, সেটা এখনও অজানা। একেবারে শেষমুহূর্তে এই সিদ্ধান্তটা আমরা গ্রহণ করেছিলাম।'

আতঙ্কিত স্নেহাশিসের স্ত্রী অর্পিতাও

অন্যদিকে সৌরভের বৌদি অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, 'সমুদ্রের ঢেউ যথেষ্ট উত্তাল ছিল। এই স্পিডবোটে ১০ জন চড়ার মতো ক্ষমতা ছিল। কিন্তু, বেশি টাকার লোভে মাত্র ৩-৪ জনকেই তোলা হয়। এটাই দিনের শেষ বোট ছিল। আমরা সমুদ্রে যাওয়ার আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু, অপারেটররা বলেছিল যে ভয়ের কোনও কারণ নেই। যদি ওইসময় নুলিয়ারা এগিয়ে না আসতেন, তাহলে আজ হয়ত আমরা প্রাণে বাঁচতাম না। আমি এখনও পর্যন্ত গভীর ট্রমায় রয়েছি... জীবনে কখনও এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হয়নি। যদি নৌকায় আরও যাত্রী তোলা হত, তাহলে হয়ত এটা উল্টে যেত না।'

Puri sea beach Puri Snehasish Ganguly