টিম ইন্ডিয়ায় এখন কোচ বিদায়ের পালা। রবি শাস্ত্রী জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। এর মধ্যেই বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে, রবি শাস্ত্রী যে ৪৫ দিনের বাড়তি মেয়াদে রয়েছেন, সেই মেয়াদ শেষ হলেই কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট অ্য়াডভাইসারি কমিটি বেছে নেবে ভারতের নতুন কোচ। শাস্ত্রী যদি কোচের পদে থাকতে চান, তাহলে পুনরায় তাঁকে আবেদন করতে হবে।
বোর্ডের পদক্ষেপেই পরিষ্কার, শাস্ত্রীকে পুনর্বহাল না করার লক্ষ্যেই নতুন করে ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটি তৈরি করা হল। তবে শাস্ত্রী-বিদায়ের এই আবহেই জাতীয় দলের কোচ হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বীরেন্দ্র শেওয়াগকে নিয়ে আসার সওয়াল করেছেন একাধিক নেটিজেনরা। তবে বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা শেওয়াগ মোটেও ভারতের কোচ হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন বিশ্বের সবথেকে দামি কোচ শাস্ত্রী! কত টাকা বেতন, জানলে চমকে উঠবেন
কোহলিদের কোচের দৌড়ে এগিয়ে কারা? চমক একাধিক নামে
কারণ হিসেবে বিসিসিআইয়ের নিয়মকেই তুলে ধরা হচ্ছে। বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোচের পদে আবেদন করতে হলে, নিম্নলিখিত যোগ্য়তা প্রয়োজন। কী সেই শর্ত? বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১) কোনও টেস্ট খেলিয়ে দেশের হয়ে কমপক্ষে ২ বছর কোচিং করাতে হবে।
২)অ্যাসোসিয়েট কোনও দেশের অথবা আইপিএল অথবা সমমানের কোনও লিগে অথবা প্রথম শ্রেণির টিমের অথবা
৩)জাতীয় এ দলের হয়ে কমপক্ষে ৩ বছর কোচের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪)খেলোয়াড়ি পর্যায়ে দেশের জার্সিতে কমপক্ষে ৩০টি টেস্ট অথবা ৫০টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলতে হবে।
৫)বিসিসিআইয়ের লেভেল ৩ পর্যায়ের শংসাপত্র থাকতে হবে।
এবং ৬) ৬০ বছরের কম বয়স হতে হবে।
ঘটনা হল, সৌরভ কিংবা শেওয়াগ জাতীয় দলের হয়ে কমপক্ষে ৩০টি ম্যাচে খেলেছেন। তবে সৌরভ কিংবা শেওয়াগ আন্তর্জাতিক কোনও দলের কোচ হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। শেওয়াগ খুব কম সময়ের জন্য দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিং করানোর মাপকাঠিতেই সৌরভ-শেওয়াগরা পিছিয়ে। তাই কোনওভাবেই জাতীয় দলের কোচ হতে পারবেন দুই কিংবদন্তি।