স্বার্থের সংঘাতে জড়াননি সৌরভ। কার্যত এমন ভাষাতেই বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন জানিয়ে দিলেন সঞ্জীব গুপ্তাকে। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তা অক্টোবরের ৪ তারিখে সৌরভের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল সৌরভ একই সঙ্গে একাধিক পদে রয়েছেন। সেই সময়ে অবশ্য সৌরভ বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হননি।
সৌরভের বিরুদ্ধে ওঠা স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে অবশ্য সৌরভকে এই ঘটনায় পুরোপুরি ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। সিএবি-র সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন সৌরভ। পাশাপাশি, বোর্ডের অ্যাডভাইসারি কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের মেন্টরও ছিলেন মাস কয়েক আগে। ধারাভাষ্যও দেন তিনি। এই কারণেই সৌরভের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল।
বোর্ডের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একই সঙ্গে একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। সেই কারণেই বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই সিএবি-র প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জৈন অবশ্য নিজের বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমার মতে, সৌরভ স্বার্থের সংঘাত ঘটিয়েছেন, তা অন্তত আমি মনে করছি না।
স্বার্থ সংঘাত ইস্যু ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ সমস্যাকীর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাম্প্রতির সময়ে। সৌরভ অবশ্য নিজে বোর্ড সভাপতি হয়ে জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠুভাবেই এই সমস্যার সমাধান করবেন। মনোনয়ন পত্র পেশ করার পরে সৌরভ সাংবাদিকদের সামনে এসে বলে দিয়েছিলেন, "ক্রিকেটাররা এই সিস্টেমের একটা অংশ। সবসময়েই ক্রিকেটাররা প্রশাসনের অংশ থেকেছে। তবে সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল না। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট এমন একটা ইস্যু যা নিয়ে রীতিমতো ভাবনা চিন্তা করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, সৌরভের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই আরও একবার স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। বোর্ড সভাপতি হয়েও বিসিসিআইয়ের সহযোগী সংস্থার প্রতিযোগীর হয়ে টুইটারে প্রমোশনাল ক্যাম্পেনে অংশ নিয়েছিলেন।
Read the full article in ENGLISH