বছর পনেরো হয়ে গেল। এখনও স্মৃতিতে অমলিন। কঠোর নিরাপত্তা। শয়ে শয়ে পুলিশ সুরক্ষার জন্য। তাদের ফাঁকি দিয়েই কিনা স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নিতে পাগলামি। এমন স্মৃতিই তুলে এনেছেন সৌরভ। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানিয়ে দিলেন কীভাবে পাকিস্তানে গিয়ে ২০০৪ সালে কাবাবের স্বাদ নিতে পুলিশি নিরাপত্তাকেও উপেক্ষা করেছিলেন।
সৌরভের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ২০০৪ সালে পাকিস্তানকে নিজেদের দেশেই টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সিরিজেই হারিয়েছিল। ওয়ানডে-তে ভারত জয় পেয়েছিল ৩-২ ব্যবধানে। অন্যদিকে, টেস্টের ফলাফল ছিল ভারতের পক্ষে ২-১।
আরও পড়ুন মাত্র ৪০ মিনিটেই সাকলিনের হৃদয় জিতেছিলেন সৌরভ
৪৫ দিনের সফরে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের স্ট্রিট ফুডও চেখে দেখেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মহারাজ জানিয়েছেন, "নিরাপত্তা নিয়ে কার্যত চক্রব্যূহ বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। আমি রাস্তার খাবার খেতে গিয়ে ধরাও পড়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তারক্ষীদের আগাম না জানিয়ে ফেলাতেও বিপত্তি হয়েছিল। বন্ধু রাজদীপ সারদেশাই আমাকে পাকড়েছিল। তারপর বলেছিল, জাতীয় দলের অধিনায়ক কিনা রাস্তায় খাবার খাচ্ছে। সেই সময় আমি একটা টুপি পড়ে রাস্তায় নেমেছিলাম। ধীরে ধীরে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। আশা করি রাজদীপ এই সাক্ষাৎকার পড়বে।"
কীভাবে সেই অসাধ্য সাধন করলেন, সেই কথা জানাতে গিয়েই সৌরভ অকপট, "নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি দেখে আমি ভীষণ হতাশ পয়ে পড়েছিলাম। প্রথম দিন ঘর থেকে বেরিয়েই দেখি দু-জন নিরাপত্তাকর্মী একে ৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একজন দরজার দিকে মুখ করে। অন্যদিক, বিপরীত দিকে তাকিয়ে ছিল। ওরা আমাকে টাইগার বলত।" জানিয়ে সৌরভের সংযোজন, "আমি তারপরে স্থানীয় ম্যানেজারকে গিয়ে বললাম আমরা এখানে ৪৫ দিন থাকব। অনুগ্রহ করে দরজার সামনে থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে লবিতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করো। কারণ প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একে-৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের দেখতে ভাল লাগে না। ওরা যদি কোনওকারণে মিস ফায়ারও করে তাহলে লবি পর্যন্তও পৌঁছতে হবে না আমাদের।"
আরও পড়ুন সানা বিতর্কে সরব সৌরভ, ‘বাচ্চা মেয়ে ওকে জড়াবেন না’
ভারতের শেষবার পাকিস্তান সফরের কথা জানাতে গিয়ে সৌরভ আরও জানিয়েছেন, "মনে আছে, করাচির বিমানবন্দর থেকে নেমে যখন হোটেলের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন পুরো রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১০ কিমির জার্নি বেশ উপভোগ করেছিলাম। মেন রাস্তা সংলগ্ন মাঝের লেনও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। প্রতি জায়গায় সেনা, আধা সেনা, পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছিল। করাচির যে হোটেলে আমরা ছিলাম, তার তিন তলায় আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। তাই দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলায় কাউকে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়নি।"