দেশের মাটিতে ভারতের বিশ্বকাপ জয়। ঐতিহাসিক সেই কীর্তির দশ বছর পেরিয়ে গেল। আর ধোনিদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এমনটাই এবার বলে দিলেন প্রজ্ঞান ওঝা।
কেন এমনটা বলছেন তিনি, সেই যুক্তি দিয়ে জাতীয় দলের প্রাক্তন এই তারকা স্পিনার স্পোর্টস টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "একজন যে সেই সময় অবসর নিয়ে ফেললেও বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রেখেছিল, সেই আর কেউ নয়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বকাপ জয়ী দলে এমন ৫-৬ জন ছিল, যাদের গড়েপিঠে নিয়েছিলেন দাদা। সেই সময় এই গড়ে তোলার পদ্ধতিতে আমি বিশ্বাস করি।"
আরো পড়ুন: ধোনির বিশ্বকাপ জয়ের ছক্কা নিয়ে মাতামাতি বন্ধ হোক! সপাটে বিস্ফোরণ গম্ভীরের
২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডের শচীন তেন্ডুলকর, যুবরাজ সিং, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, আশিস নেহেরা, জাহির খান, হরভজন সিং- প্রত্যেকেই ২০০৩ সালের জোহানেসবার্গে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেই ফাইনালে হেরে কাপ জেতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি ভারতের। সেই বিশ্বকাপেই দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রজ্ঞান ওঝা সেই কারণেই বলেছেন, ধোনি, হরভজন, জাহির খান, নেহেরা, যুবরাজ, বীরেন্দ্র শেওয়াগ সকলকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ক্যাপ্টেন সৌরভ। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের হার থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কিরা। সেই কারণেই ২০১১য় ফাইনালে শ্রীলঙ্কার থেকে ধারে ভারে অভিজ্ঞতায় অনেকটাই এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া।
আরো পড়ুন: ট্র্যাজেডি! বিশ্বকাপজয়ী সেই টিম ইন্ডিয়া আর কখনো একসঙ্গে খেলেনি! জানুন কেন
প্রজ্ঞান ওঝা আরো বলেছেন, "মাহি ভাই শেষ বলে দুরন্ত ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে। তবে সকলের অবদান অসাধারণ ছিল। যেমন জাহির খানের কথাই ধরা যাক। মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ ভেঙে ভারতকে ম্যাচে ফিরতে অনেকটাই সাহায্য করেছিল। ওখানেই কার্যত ম্যাচের দিক নির্ধারণ হয়ে যায়। তারপরে মুনাফ প্যাটেল, সুরেশ রায়না, শচীন পাজি, বীরু পা, গৌতি ভাই সকলের দুরন্ত খেলেছিল। যুবির কথা কে ভুলতে পারে? টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়া আসলে দলগত প্রচেষ্টার ফল।"
বিশ্বকাপ জয়ের কথা বললে এখনো আবেগে থরথর করেন প্রজ্ঞান ওঝা। তিনি বলে চলেছিলেন, "ভারতীয় হিসাবে দেশের যে কোনো জয়ই অনেক বড়। তবে বিশ্বকাপ, তার ওপর মুম্বই- এর থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। সেই সময়ে প্রত্যেকেই রাস্তায় নেমে জয় সেলিব্রেট করেছিল। এটাই আমার সেরা অভিজ্ঞতা। কারণ প্রথমবার যখন ভারত বিশ্বকাপে জেতে, সেই সময় আকার জন্মই হয়নি।"
এর পর তারকা স্পিনারের আরো সংযোজন, "২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় এতটাই স্পেশ্যাল ছিল যে আমার নাতি-নাতনিকে বলে যেতে পারব, দেশের জয়ে আমিও যুক্ত ছিলাম। ড্রেসিংরুমে না থাকলেও, দেশের প্রত্যেকেই এই জয়ে যুক্ত ছিল। সেই কারণেই বিশ্বকাপ জয় আমার কাছে এতটা স্পেশ্যাল।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন