ভারতের একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার জাতীয় দলের বাইরে। রবীন্দ্র জাদেজা হোক বা মহম্মদ শামি- কেউ খেলছেনই না সাম্প্রতিককালে। অস্ট্রেলীয় সফরে কার্যত তৃতীয় সারির দল নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। এর মধ্য়েই তরুণ তুর্কি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন মহম্মদ সিরাজ, শুভমান গিল, শার্দুল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দরের মত তারকারা। ঋষভ পন্থ সমালোচনার চক্রব্যুহ সরিয়ে নতুন হিরো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
আর এর অন্যতম কুশীলব বলা হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-রাহুল দ্রাবিড়ের পার্টনারশিপকে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন বোর্ড সভাপতি হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনের সর্বেসর্বা। তেমনই রাহুল দ্রাবিড় আবার জুনিয়র ক্রিকেটারদের কাছে স্বয়ং মহাগুরু! এনসিএ-র প্রধান হিসেবে যুব ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার দায়িত্ব এখন তাঁর কাছেই। তাঁর কোচিংয়েই প্রস্ফুটিত হয়েছেন শুভমান গিল, মহম্মদ সিরাজ, পৃথ্বী শ-রা।
আরো পড়ুন: সিরাজ-ইশান্তকে তুলোধোনা সুন্দরের বাবার! ছেলের সেঞ্চুরি না হওয়ায় ক্ষোভে বিস্ফোরণ
দ্রাবিড়ের অবদান স্বীকার করতে গিয়ে সৌরভ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তরুণ ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার জন্য তাঁর সতীর্থের ভূমিকা রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে মহারাজ জানিয়েছেন, "সবসময়ে বলেছি দ্রাবিড় এনসিএ-তে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। জাতীয় দলের দ্বিতীয় সারির ক্রিকেটারদের দারুণ পরিচর্যা করেছেন দ্রাবিড়। মহম্মদ সিরাজের প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয়ই নেই। শার্দুল ঠাকুর যখনই সুযোগ পেয়েছে দারুণ সদ্ব্যবহার করেছে।"
অস্ট্রেলিয়া সফরে কার্যত অর্ধেক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন না। বিরাট কোহলি থেকে ইশান্ত শর্মা, হনুমা বিহারি, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, রবীন্দ্র জাদেজা- একাধিক তারকা ক্রিকেটারদের সার্ভিস পায়নি ভারত। তবে তাতেও হেভিওয়েট অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে সমস্যা হয়নি।
সৌরভ তাই জানিয়ে দিয়েছেন, "আমরা এতদিন বুমরার অপরিহার্যতার কথা বলতাম, তবে অস্ট্রেলিয়ায় আমরা বুমরাকে ছাড়াই জিতেছি। শেষ টেস্ট ম্যাচে ইশান্ত শর্মাও ছিল না। মহম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুররা অজিদের হারিয়ে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি আমরা। এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন