সামান্য একটা টুইট ঘিরে এই এইভাবে জল্পনার লাভাস্রোত বইবে, তা সম্ভবত বুঝতে পারেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তিনি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। আর তাই নিয়েই বিকেল থেকে সারাদিন ব্যস্ত রইল ক্রিকেট মহল।
জল্পনা চালু হয়ে গেল সৌরভের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে। একাধিক চ্যানেলে ব্রেকিং হিসাবে দেখিয়ে দেওয়া হল, বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। আর এই সমস্ত ঘটনা প্রবাহে রীতিমত বিরক্ত মহারাজ স্বয়ং।
আরও পড়ুন: গুজরাটের জয়ে নেচে-কুঁদে অস্থির জয় শাহ! বোর্ডের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্যাপক বিতর্ক
শেষমেশ মুখ খুলে তিনি বলতে বাধ্য হলেন, "একটি শিক্ষামূলক এপ লঞ্চ করেছি। তিল থেকে যেভাবে তাল করা হল, তা দেখে রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছি। একটা সহজ সরল টুইট। কোনও পদত্যাগের কোনও বিষয়ই নয়।"
২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে পৌঁছে দেওয়া ক্যাপ্টেন বুধবার অনেক জল্পনার জন্ম দিয়ে লিখে দিয়েছিলেন, “১৯৯২ সালে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরুর পর থেকে ৩০ বছর অতিক্রান্ত। ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। সবথেকে বড় বিষয় ক্রিকেট আমাকে সকলের সমর্থন জুগিয়েছে। এই যাত্রাপথে যাঁরা আমাকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, অংশ হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতি। আজ এমন কিছু শুরু করতে চলেছি, যাতে আমার অনুভব অনেকে উপকৃত হবে। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার পরেও সেই একই সমর্থন পাব, আশা করি।”
আরও পড়ুন: সৌরভের ভবিষ্যৎ জানিয়ে দিলেন জয় শাহ, সমস্ত আগুনে জল ঢাললেন এক বার্তাতেই
তারপরেই সেই টুইট নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল ক্রিকেট মহল। তিনি কি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন নাকি বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরছেন- তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা চালু হয়ে যায়।
শেষমেশ আসরে নামতে বাধ্য হন বোর্ড সচিব জয় শাহ। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলে দেন, সৌরভ মোটেই বোর্ডের শীর্ষ পদ থেকে অবসর নেননি। জয় শাহের সাফ জবাব, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।”