কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় টিম ইন্ডিয়ার কোচিংয়ের দায়িত্বে এসেছেন ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে। দু বছরের মেয়াদে জাতীয় দলের কোচের হটসিটে বসেছেন তিনি। রবি শাস্ত্রীর কোচিংয়ের মেয়াদ শেষের পরে দ্রাবিড়ই হেড কোচের পদে ফেভারিট ছিলেন। তিনি নিয়ম মেনে আবেদন করতেই কেল্লাফতে। টি২০-তে কোচ দ্রাবিড়ের অভিষেকেই ভারত নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করে শুভ সূচনা করেছে।
সমর্থকরা প্রিয় দ্রাবিড়কে কোচের সিটে দেখে আহ্লাদিত হলেও বোর্ডকে কিন্তু বেজায় কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মহাতারকাকে রাজি করানোর জন্য। বোরিয়া মজুমদারের শো-এ সৌরভ জানালেন, দ্রাবিড় মোটেই কোচ হতে রাজি হচ্ছিলেন না। বছরের ৮-৯ মাস পরিবার ছেড়ে থাকতে হবে, এমন চাকরিতে আপত্তি ছিল কোচ দ্রাবিড়ের। জাতীয় দলের কোচ একমাত্র আইপিএল চলাকালীনই পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন।
আরও পড়ুন: কিউয়িদের চূর্ণ করে ঐতিহাসিক জয়! অশ্বিন-জয়ন্তের মারণ স্পিনে মৃত্যু ল্যাথামদের
"আমার এবং জয় শাহর পরিকল্পনায় বহুদিন ধরেই দ্রাবিড় ছিল। তবে পরিবার ছেড়ে কাটাতে হবে মাসের পর মাস- এমনটা ভেবেই দ্রাবিড় রাজি হচ্ছিল না। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার অর্থ বছরের ৮-৯ মাসই দেশের বাইরে কাটাতে হবে। তাছাড়া ওঁর বাচ্চারাও রয়েছে।"
এমনটা জানিয়ে সৌরভ আরও বলেন, "একটা সময়ে আমরা কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। এনসিএ-র প্রধান হিসেবে ওঁর দায়িত্ব ছিল প্রতিশ্রুতিমানদের দেখভাল করা। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সমস্ত ইন্টারভিউ পর্ব করে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে দ্রাবিড়কে এনসিএ-তে নিয়োগ করার পরেও আমরা বারবার ওঁকে জোরাজুরি চালিয়ে যাই জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। সৌভাগ্যক্রমে শেষমেশ ও রাজি হয়। জানি না হঠাৎ করে ওঁর মনে কী উদয় হল। তবে শেষ পর্যন্ত ও আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল। রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষের পরে বোর্ডের কাছে এবারই সবথেকে বড় সুযোগ ছিল দ্রাবিড়কে কোচ করার।"
আরও পড়ুন: মন কষাকষি নয়, বিরাটকে সম্মানে মুড়ে দিলেন রোহিত! জানালেন কোহলিই সেরা
বিসিসিআইয়ের অধীনে দ্রাবিড়ের চাকরি জীবন শুরু হয় ২০১৪-এ। অনুর্দ্ধ-১৯ এবং ভারতীয়-এ দলের হেড কোচ হিসেবে প্রায় চার বছর দায়িত্ব সামলেছেন কিংবদন্তি। দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে একের পর এক তরুণ জাতীয় দলের তারকা হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০১৮-য় দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে অনুর্দ্ধ-১৯ দল যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়।
২০১৯-এ দ্রাবিড় বেঙ্গালুরুতে এনসিএ-র প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। দ্রাবিড়ের জাতীয় দলের কোচিং মেয়াদ কালে তিনটে আইসিসি ইভেন্ট খেলবে ভারত। আগামী বছরের টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২৩-এ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বহুদিন অধরা আইসিসি খেতাব কী দ্রাবিড়ের কোচিংয়েই টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে আসবে, সময়ই উত্তর দেবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন