/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/sourav-ganguly_.jpg)
বিসিসিআই-এর নয়া প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় (ফেসবুক)
একের বেশি পদে থাকতে পারবেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ নির্দেশ দিলেন বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন। সৌরভের বিরুদ্ধে ওঠা স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে অবশ্য সৌরভকে এই ঘটনায় পুরোপুরি ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিকে জৈন-এর তরফ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে সিএবি প্রেসিডেন্টকে, সেখানেই স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই একের বেশি পদে থাকতে পারবেন না তিনি।
সিএবি-র সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন সৌরভ। পাশাপাশি, বোর্ডের অ্যাডভাইসারি কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের মেন্টরও ছিলেন মাস কয়েক আগে। ধারাভাষ্যও দেন তিনি। এই কারণেই সৌরভের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছে দ্রাবিড়ের নাম, সৌরভ বলছেন ভগবানই পারেন ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে
এই ঘটনায় সৌরভকে পাঠানো ই-মেলে লেখা হয়েছে, এথিক্স অফিসার জানিয়েছেন, বোর্ডের ৩৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটিতে সৌরভের উপস্থিতি স্বার্থ সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে আইপিএল দলের সঙ্গে মে মাসেই সম্পর্কচ্ছেদের পরে সৌরভের 'কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট' সিচ্যুয়েশন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ইমেলে সৌরভকে সতর্ক করে দিয়ে আরও বলা হয়েছে, "আইন সম্পর্কে অবগত না হওয়া, কোনও অজুহাত হতে পারে না। বোর্ডের ৩৮(২) ধারা অনুযায়ী, সৌরভের এই বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত। তবে নিয়ম ২০১৮ সালের অগাস্ট মাস থেকে কার্যকর হয়েছে, এটা ধরে নিলে সৌরভকে বেনিফিট অফ ডাউট দেওয়া যেতেই পারে। হয়তো সৌরভ বুঝতে পারেননি তিনটে পজিশনে একসঙ্গে থাকলে স্বার্থ সংঘাতের ইস্যু হতে পারে।"
পাশাপাশি আরও লেখা হয়েছে, "বিসিসিআইকে নিশ্চিত করতে হবে, স্বার্থের সঙ্ঘাত ঘটবে এমন বিষয়গুলি থেকে সৌরভের সরে আসা যেন নিশ্চিত হয়। বোর্ডের ৩৮(৪) ধারা অনুযায়ী, কখনই একের বেশি পদে থাকা চলবে না।"