রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে পরোক্ষে পরমাণু যুদ্ধের হুংকার দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপরেই বিশ্বজুড়ে সরব হয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতারা। বীরেন্দ্র শেওয়াগ, হরভজন সিং, মহম্মদ শামিও একহাত নিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। প্রতিবাদ জানালেন এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। প্রিয় বীরুর টুইটের সূত্র ধরে সৌরভ জানিয়ে দিলেন, ভীষণ দুর্বল বক্তৃতা।
ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতার পরেই ইমরান খান মার্কিন এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানেও কাশ্মীর ইস্যুতে গরমা-গরম বক্তব্য রাখেন তিনি। তবে সেই চ্যানেলের সঞ্চালক সরাসরি ইমরান খানকে থামিয়ে দিয়ে বলে দিয়েছিলেন, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে ব্রঙ্কংসের কোনও কামার কথা বলছেন!
ইমরান খানের সেই ভিডিও শেয়ার করেই বীরেন্দ্র শেওয়াগ ২৪ ঘণ্টা আগে বলে দিয়েছিলেন, "এই মানুষটিকে দেখে মনে হচ্ছে, প্রতিদিন নিজেকে অসম্মানিত করার নিত্য় নতুন উপায় বার করছেন।" বীরুর সেই টুইট শেয়ার করেই এবার আসরে নামলেন স্বয়ং সৌরভ। তিনি ঝাঁঝালো আক্রমণে বিঁধে পাক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য়ে লিখলেন, "বীরু, আমি এই ভিডিও যতই দেখছি, ততই অবাক হচ্ছি। এমন বক্তৃতা সাধারণত শোনা যায় না। বিশ্বে শান্তির প্রয়োজন। দেশ হিসেবে পাকিস্তানের এটা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এবং যে নেতা ভুলভাল কথা বলে চলেছেন, তাঁকে ক্রিকেটার হিসেবে এই বিশ্ব চেনে না। রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তৃতা ভীষণই দুর্বল ছিল।"
এর আগে মহম্মদ শামি, ইরফান পাঠান, হরভজন সিংয়ের মতো তারকা ক্রিকেটাররাও ইমরানের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। জাতীয় দলের তারকা পেসার শামি লিখেছিলেন, "ভালবাসা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ, শান্তির বাণী আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। রাষ্ট্রসংঘের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে ইমরান খান হুমকি এবং ঘৃণার বার্তা দিলেন। আসলে পাকিস্তানের এমন এক নেতার প্রয়োজন যিনি যুদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদের পরিবর্তে উন্নতি, চাকরি, আর্থিক বৃদ্ধির কথা বলবেন।"
ভাজ্জি টুইটে বলেন, "রাষ্ট্রসংঘে দেওয়া ইমরান খানের বক্তব্য সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের ইঙ্গিত ছিল। উনি রক্তস্নান করতে চেয়েছেন ও শেষ পর্যন্ত লড়ার বার্তা দিয়েছেন। এতে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে শুধুই হিংসা বাড়বে। উনি শান্তির বার্তা দিক, একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।" একই কথা বলেন ইরফান পাঠানও।
Read the full article in ENGLISH