স্বার্থ সংঘাতের কারণে আগেই এটিকে মোহনবাগানের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। বোর্ড সভাপতি হিসেবে দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
Advertisment
এবার ঝাড়া হাত পা তিনি। বোর্ডের সভাপতি হননি তিনি। সিএবির সভাপতি হিসাবেও ফিরছেন না তিনি। এমন অবস্থায় ফের একবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফিরছেন এটিকে মোহনবাগানের ডিরেক্টর পদে। মঙ্গলবার ক্লাবের তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল মহারাজ বিকেলের দিকে বৈঠকে বসবেন ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্তের সঙ্গে। তারপরেই শুরু হয় তুমুল জল্পনা। সেই আলোচনার পরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দেন, তিনি এটিকে মোহনবাগানের ডিরেক্টর হিসাবে ফিরছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মোহনবাগান তাঁবুতে তিনি বলে দেন, "বহুদিন আগে, মোহনবাগান ক্লাবের হয়ে নয় বছর খেলেছিলাম। ক্লাবের সঙ্গে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ক্লাবের রূপান্তর দেখে ভাল লাগছে। ওঁরা যেভাবে পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়েছেন, তাতে কুর্নিশ জানাতেই হয়। শীঘ্রই ক্লাবের ডিরেক্টর হয়ে ফিরব।"
Advertisment
Kolkata| Long ago, I played for Mohun Bagan Club for over 9 yrs. I've many memories of the place. I'm happy to see the transformation of this club. I congratulate them for working to increase the facilities here. I'll come back as Director here soon: Sourav Ganguly, ex-BCCI chief pic.twitter.com/eFnRcFt5y1
সাম্প্রতিক সময়ে এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের মার্জার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বাগান সমর্থকরা দ্রুত ক্লাবের নামের পাশ থেকে 'এটিকে' হঠানোর দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ময়দান, রাজপথ, যুবভারতী বারবার সমর্থকদের উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে। ক্লাব কর্তারা একাধিকবার বিবৃতি দিয়েও সমর্থকদের এখনও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেননি। কয়েকদিন আগেই দেবাশিস দত্তের বাড়ি ঘেরাও করেন উন্মত্ত সমর্থকরা। এই প্রসঙ্গে মহারাজ মঙ্গলবার বলেন, এটিকে সরানোর দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দেবাশিস দত্তরাই।
যাইহোক, সিএবি সভাপতি হিসেবে সৌরভ মনোনয়ন জমা দেননি। শেষদিনে প্রেসিডেন্ট পদে একমাত্র মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। গত রবিবার নিজের নাম না পেশ করার কারণ হিসেবে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, "বলেছিলাম, আমি প্রার্থী পদে মনোনয়ন জমা দেব, যদি একমাত্র নির্বাচন হয়। এখন তো কোনও নির্বাচন হবে না। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিষয়টি হবে।"
"আমি যদি থাকতাম, তাহলে বিষয়টি দাঁড়াত, দু-তিন জন প্রশাসনিক পদ থেকে বঞ্চিত হত। তাই সরে দাঁড়ালাম। আমি থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততাম। তবে মনে হয়না, এটা ঠিক। অন্যদেরও এই সংস্থায় কাজের সুযোগ দিতে হবে। ওঁরা আপাতত তিন বছর কাজ করুক। তারপরে দেখা যাবে।”
নিজের পরবর্তী ইনিংসের কথা জানাতে গিয়ে সৌরভ আরও বলেছিলেন, "দেখা যাক। আপাতত বেশ কিছুদিন কাঁধে কোনও দায়িত্ব থাকবে না। ভাল লাগছে। সিএবিতে আমার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সকলেই আমার বন্ধু। সিএবি আপাতত নতুন এবং অভিজ্ঞরা চালাবেন। আমিও থাকব।”