এখনই বাড়ি যেতে চাইছেন না। বরং নিজেই হাসপাতালে আরো একটা দিন কাটাতে চান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তাই ছুটি দেওয়ার কথা থাকলেও, সৌরভের ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ডিসচার্জ করার কথা জানিয়েছে।
এদিন সকাল ১১.৩০ এ সৌরভের চিকিৎসার জন্য তৈরি মেডিকেল বোর্ডের ডাক্তাররা আলোচনা সারেন। তাঁদের সঙ্গে জুম কলে ছিলেন অন্যান্য কার্ডিওলজিস্টরাও। তারপরেই জানানো হয়, সৌরভকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ডিসচার্জ করা হবে।
আরো পড়ুন: সৌরভের অসুস্থতায় কুৎসিত অপমান কংগ্রেস নেতার, শালীনতার মাত্রা ছাড়াল রসিকতা
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হালকা ব্রেকফাস্ট সারেন তিনি। বুধবারই সৌরভকে ছেড়ে দেওয়া হবে, জেনে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল বেসরকারি হাসপাতালে। ডিসচার্জ সার্টিফিকেটও লেখা হয়ে যায়। তবে শেষ মূহূর্তে নিজের মত বদল করে হাসপাতালেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন সৌরভের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা জেনে বাইরেই দাদার অনুগামীরা প্ল্যাকার্ড হাতে অপেক্ষা করছিল। 'কামব্যাক দাদা' প্ল্যাকার্ডে লিখে রীতিমত ভিড় জমে যায় হাসপাতালের বাইরে। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁদের হতাশই হতে হল।
এদিকে, চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, বাড়িতে গিয়ে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবেন তিনি। নিয়মিত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর শারীরিক চেক আপ হবে।
মঙ্গলবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পর বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট দেবী শেঠি জানিয়েছিলেন, “সৌরভের কোনো বড়সড় সমস্যা নেই। ওঁর যে সমস্যা রয়েছে সেটা অধিকাংশ ভারতীয়র কখনো না কখনো হয়ে থাকে। ওঁর করোনারি আর্টারিতে ব্লক রয়েছে। প্রশ্ন হল, ওঁর কি হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? একদম নয়। ব্লকেজের কারণে কিছুটা অস্বস্তি হয়েছিল। ঠিক সময়ে হাসপাতালে চলে আসায় একদম ঠিকঠাক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেছিলেন, “সৌরভের হার্ট এখন ওঁর ২০ বছর বয়সের মতই শক্তিশালী। সবাইকে জানাতে চাই, ওঁর এমন কোনো হার্টের সমস্যা হয়নি যাতে হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ওঁর হার্ট সত্যিই খুব পোক্ত।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন