বোর্ডের মসনদে আগেই বসেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মহারাজের দাদা সিএবির বড় কর্তা। সচিব হতে চলেছেন তিনি। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এমনটাই লেখা হয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সিএবি-র বিশেষ সাধারণ সভায় অভিষেক ডালমিয়া সভাপতি হতে চলেছেন। ডালমিয়া-পুত্রের ছেড়ে যাওয়া সচিবের আসনেই বসবেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস।
বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সিএবি-র সভাপতি পদ ফাঁকা। সেই শূন্যস্থান পূরণ হতে চলেছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। সাধারণ সভায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই সচিব ও সভাপতি পদে বসবেন যথাক্রমে অভিষেক ও স্নেহাশিস। বোর্ড সভাপতির দাদা কোনও রাজ্য় ক্রিকেট সংস্থায় সচিব- ভারতীয় ক্রিকেটে এমন দৃষ্টান্ত বিরল।
বঙ্গ ক্রিকেটে স্নেহাশিসের উত্থান কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে সৌরভের দাদা স্নেহাশিসের ক্ষেত্রে রাস্তা এত মসৃণ ছিল না। প্রতিদ্বন্দ্বী লবি সৌরভের দাদা-র বিপক্ষে প্রার্থী দাঁড় করানোর পক্ষপাতী ছিল। তবে পদবি-র জন্যই শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসে।
প্রশাসনে আসার আগে বিখ্যাত ভাইয়ের মতোই ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ ছিলেন স্নেহাশিস। ৫৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলেছিন তিনি। তাঁর অন্তর্ভূক্তি প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সংখ্যা বাড়াল সিএবি প্রশাসনে। সৌরভ ছাড়াও মহম্মদ আজাহারউদ্দিন (হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি), রজার বিনি (সভাপতি, কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থা), জয়দেব শাহ (সভাপতি, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা), সঞ্জীব রাও (সচিব, মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা), দেবজিৎ সাইকিয়া (আসাম ক্রিকেট সংস্থার সচিব) প্রত্যেকেই নিজেদের রাজ্য ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন পূর্বে। ঘটনাচক্রে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকা দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ।
এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে স্বার্থের সংঘাত নিয়ে। তবে বোর্ডের বর্তমান স্বার্থ সংঘাতের নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও লেখা নেই যে বিসিসিআই সভাপতির নিকটাত্মীয়রা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার আধিকারিক হতে পারবেন না। এর অর্থ, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় পরিবারতন্ত্র আরও কায়েম হবে, ক্রিকেট মহলের একাংশের আশঙ্কা এমনই।