শারদীয়া গোটা বাঙালিদের কাছেই অফুরান ছুটি, মজা, সেলিব্রেশনের মেজাজ এনে দেয়। তবে এবার হাইকোর্টই অতিমারীর আবহে রায় দিয়েছে, সমস্ত দুর্গাপুজোর মন্ডপে প্রবেশাধিকার থাকবে কেবল আয়োজকদের। বাকি দর্শনার্থীদের জন্য নো এন্ট্রি। করোনা প্রেক্ষিতে সেলিব্রেশন আটকাতেই এমন কড়া রায় হাই কোর্টের।
তবে সল্টলেকের এক পুজা মণ্ডপেই এবার পারফর্ম করে গেলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি আবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তাঁর এই নৃত্যের পারফরমেন্সের সঙ্গেই আবার জল্পনা শুরু হয়েছে সৌরভের বিজেপি যোগ নিয়ে। কীভাবে? সল্টলেকের ইজেডসিসি ব্লকের সেই পুজোর আয়োজক বিজেপির মহিলা মোর্চা। এই পুজো আয়োজনের ঘোষণা হওয়ার সময় থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
আরো পড়ুন: মোহনবাগান বাদ, শুধুই এটিকে! সৌরভের পোস্টে চরম ক্ষুব্ধ বাগান সমর্থকরা
এই পুজোর আয়োজনের পর থেকেই বারেবারে শাসক দল তৃণমূল এবং সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল, পুজোর মঞ্চেও রাজনীতির অনুপ্রবেশ করতে চাইছে বিজেপি। ঘোষিতভাবে বিজেপির আয়োজিত পুজো হওয়ায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়ে বাংলায় বিভাজন তৈরি করার প্রয়াস চালাচ্ছে।
বিজেপির আয়োজিত পুজোতেই এবার সৌরভের স্ত্রী পারফর্ম করা নতুন আলোচনার জন্ম দিল। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে সৌরভের কি বিজেপি ঘনিষ্ঠতার জন্যই ডোনা পারফর্ম করলেন মহিলা মোর্চার পুজোয়! বোর্ডের মসনদে বসার সময়েই সৌরভের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল।
এই পুজোরই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই এই পুজোর মঞ্চে গায়ক এবং বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় গানের অনুষ্ঠান করে যান। তবে খোদ বিজেপির পুজোয় সৌরভের স্ত্রীর অংশগ্রহণ অন্য মাত্রা দিয়েছে সল্টলেকের এই পুজোকে।
মহাষষ্ঠীতে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে কলকাতার পুজোতেও অংশ নেন তিনি। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে মোদির পুজো ভাষণ সরাসরি টেলিকাস্ট করা হয় রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই।
প্রধানমন্ত্রী নিজের পুজো বক্তৃতায় বলেন, "দুর্গাপুজোয় দেশের সংহতি এবং শক্তি প্রতিফলিত হয়। বাংলার এই ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা অতিমারীর সময়ে এই পুজো আয়োজন করা হচ্ছে। সমস্ত ভক্তদের সংযত হয়ে থাকতে হবে। জনসমাগম কম হলেও ভক্তিতে ঘাটতি হবে না। খুশি, আনন্দও কম হবে না। এটাই আসল বাংলা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন