Calcutta Football League: ছোটবেলায় বাবার সঙ্গেই মাঠের খেলা দেখতেন মহিদুল। আবার কখনও মাঠে খেলা চলাকালীন দূরে যাওয়া বল কুড়িয়ে এনে দিতেন। বাবা সফিক কয়াল পাড়ার খেলায় রেফারির ভূমিকা পালন করতেন, সেখান থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ জন্মায় ছেলের।
বারাসাত কাজিপাড়া জগদীঘাটা স্পোটিং ক্লাবের ফারুক কয়ালের হাত ধরে ফুটবল জগতে পা রেখেছিলেন মহিদুল কয়াল। সেখান থেকে বারাসাত ইউনাইটেড ফুটবল ক্যাম্পে প্রায় ৮-৯ বছর অনুশীলন করে চলেছেন। এভাবেই খেলতে খেলতে আজ ক্যালকাটা পুলিশের ফুটবল টিমের জার্সিতে আত্মপ্রকাশ। ছোট থেকেই গোলকিপার হওয়ার অদম্য ইচ্ছা এখন তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব এর তেকাঠির দায়িত্বে। পাড়ার ফুটবল থেকে কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশন এভাবেই শুরু হয়েছে তাঁর পরিচিতি।
বাড়ির অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল নয়। তবে এই গোলকিপারের অভাব হার মেনেছে ইচ্ছার তাড়নার কাছে। প্র্যাকটিস করতে যাওয়ার জন্য গাড়িভাড়া থাকত না একসময়। কখনও কখনও, পাড়ার দাদাদের সাইকেলে অথবা পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতেন মাঠে।
এক সাক্ষাৎকারে মহিদুল জানিয়েছেন, নিজেকে প্রচারে নয়, খেলার মাঠে নিজেকে রাখতে চান তিনি।
ক্যালকাটা পুলিশ টিমের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভ করে সকলের নজর কেড়েছেন বারাসাতের এই গোলকিপার। মোহনবাগান টিমের ফুটবলার ফারদিন আলী মোল্লার শট রুখে দিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ ড্র হওয়াতে জিততে পারেনি মোহনবাগান, পেনাল্টি সেভ না করলে স্কোরলাইন হতো অন্যরকম। সিএফএল এর ফার্স্ট ডিভিশনে নেমে গিয়েছিল ক্যালকাটা পুলিশ সেখান থেকেই প্রিমিয়ার ডিভিশনে কামব্যাক। এক্ষেত্রে দলের হয়ে দারুন অবদান রাখছেন মহিদুল।
আরও পড়ুন- সুন্দরে বিরক্ত ক্যাপ্টেন রোহিত! বারবার থামায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ, দেখুন ভিডিও
তাতে অবশ্য নিজের উপর কোনও বাড়তি অহংকার নেই এই গোলরক্ষকের। তার কথা অনুযায়ী, তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছেন ও তার দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন এটাই তার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। ফুটবল ই তাঁর উপার্জনের একমাত্র উৎস। বাড়ির কথাও ভাবতে হয় তাঁকে। তাই নিজের খেলার মাধ্যমেই নিজেকে বড় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর মহিদুল কয়াল।