কিডনির রোগে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন। শেষ কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবারেই অরুণ জেটলি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। আইনজীবী, ছাত্রনেতা, সুবক্তা, মন্ত্রী একাধিক পরিচয় ছিল অরুণ জেটলির। তবে এসব পরিচয় ছাপিয়েও অরুণ জেটলির রাজনৈতিক সত্ত্বাটাই বড় হয়ে গিয়েছিল। তবে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবেও ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি। দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্টস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিন শীর্ষ কর্তা ছিলেন। ডিডিসিএ-কে বদলে দেওয়ার রূপকারও বলা হত তাঁকে।
এক ঝলকে অরুণ জেটলির জীবন। অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
যাইহোক, এইমস-এর তরফে দুপুর বারোটায় তাঁর প্রয়াণের খবর সরকারিভাবে ঘোষণা করা হতেই দেশের ক্রিকেটের মনখারাপ শুরু। দিল্লির আকাশ চোপড়া, শিখর ধাওয়ান, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, গৌতম গম্ভীররা তো বটেই কাইফ, লক্ষ্মণের মতো দেশের অন্যপ্রান্তের ক্রিকেটাররাও অরুণ জেটলির প্রয়াণ শোকপ্রকাশ করেছেন টুইটারে।
ধারাভাষ্যকার তথা দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া যেমন টুইটারে লিখেছেন, "অরুণ জেটলির প্রয়াণে মর্মাহত। একজন পণ্ডিত, ক্রিকেট প্রেমী। এবং সর্বোপরি একজন যিনি সবসময়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকতেন। ওঁর অনুপস্থিতিতে বিশ্ব অনেকটাই গরিব হয়ে গেল।"
বীরেন্দ্র শেওয়াগ যেমন সরাসরি তাঁর কিবদন্তি হওয়ার জন্য অরুণ জেটলিকেই অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। নিজের কেরিয়ারের উদাহরণ দিয়ে বীরু লিখেছেন, "দিল্লির অনেক ক্রিকেটার স্রেফ অরুণ জেটলির জন্যই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। এমন একটা সময় ছিল, যখন দিল্লির ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার সুবিধা পেত না। তবে ডিডিসিএ-তে ওঁর নেতৃত্বে অনেক ক্রিকেটার আমার মতো দেশের হয়ে খেলেছে।" এর সঙ্গে বীরুর সংযোজন, "উনি ক্রিকেটারদের সমস্যা বুঝতেন এবং ঝটপট সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতেন। আমার সঙ্গে ওঁর ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক দারুণ ছিল। ওম শান্তি"
গৌতম গম্ভীর আবার পিতৃতুল্য বলে সম্ভোধন করেছেন অরুণ জেটলিকে। বিজেপির টিকিটে সদ্য লোকসভায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। সেই গম্ভীরই জেটলির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, "একজন বাবা মুখে বুলি ফোটাতে শেখান, কিন্তু একজন পিতৃতুল্য ব্যক্তি কথা বলতে শেখান। বাবা হাঁটতে শিখিয়েছেন। তবে পিতৃতুল্য একজন সামনে এগিয়ে যেতে শিক্ষা দেন। বাবা আমাদের নাম দেন। তবে আমাদের পরিচয় দেন পিতৃতুল্য কোনও একজন।"
পাশাপাশি, মহম্মদ কাইফ, লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেটাররাও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন।