India vs Bangladesh Kanpur Test: কানপুর টেস্ট এবং সঙ্গে দুই টেস্ট-এর সিরিজ জিতে মঙ্গলবার ভারতীয় দল সেই ট্রফি তুলে দিল রাঘবেন্দ্র দ্বিবেদী ওরফে রঘুর হাতে। থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ তথা ভারতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ রঘু, এই ঘটনায় রীতিমতো আপ্লুত। দু'দিন বৃষ্টিতে খেলা হয়নি। তাতেও ভারত কানপুর টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে নিয়েছে। আর, এর পিছনে রঘুর অবদানকে বেশ বড় করে দেখছে রোহিত অ্যান্ড কোং।
রঘু দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফ। ব্যাটসম্যানদের দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলার কুমতার বাসিন্দা চেয়েছিলেন পেশাদার নামী ক্রিকেটার হতে। তবে, যাই হোক জাতীয় দলে তাঁর যোগদানের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তবে, সেটা সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে। সেটাই বা কম কীসের? মঙ্গলবার রঘু ট্রফি তুলে ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলার পর, সেটা যে সত্যি কম নয়, আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।
আর, তারপরই রঘুকে নিয়ে শুরু হয় সাংবাদিকদের মধ্যে হইচই। জানা গিয়েছে রঘুর স্কুলশিক্ষক বাবা ছেলের খেলাধূলার পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু, বাবার অমতেও রঘু কেরিয়ার গড়তে ক্রিকেটকেই বেছে নিতে চেয়েছিলেন। হুবলিতে, কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (KSCA) দলের জন্য ট্রায়াল দেন। পরিবার পাশে না দাঁড়ানোয় কখনও কাটিয়েছেন বাসস্ট্যান্ড, কখনও মন্দির, কখনও বা কবরস্থানে। তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে ধারওয়াদ জোন টিমের সাফল্যের পর। কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাঁর থাকার ব্যবস্থা করে। তবে, ইনজুরির জন্য পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন শীঘ্রই ভেস্তে যায়। তবে, তাতেও রঘু খেলা ছাড়েননি। ক্রিকেট কোচিং শুরু করেন। কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের হয়েই কোচিং করতেন। ২০০৮ সালে বিসিসিআইয়ে চাকরি পান। তার তিন বছর পর ২০১১ থেকে ভারতীয় দলের একজন থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন।
কানপুরে ২য় টেস্ট শুরুর আগে, ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার এবং প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী এই রঘুর সঙ্গে একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তাঁকে 'ভারতীয় ক্রিকেট দলের হার্টবিট' বলেছেন। শাস্ত্রী X-এ লিখেছেন, 'ম্যান ফ্রাইডে এবং ভারতীয় ক্রিকেট দলের হার্টবিট রঘুকে দেখলেই মনটা সব সময় ভালো হয়ে যায়।' বিরাট কোহলিও জাতীয় ক্রিকেটে রঘুর অবদান একবাক্যে মেনে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিদায়ী তারকার জন্য সেরার সেরা সম্মান! লজ্জার কানপুরে সাকিবের হৃদয় জিতলেন কিং বিরাট
২০১৩-য় রঘু সম্পর্কে কোহলি বলেছিলেন, 'আমি বিশ্বাস করি ২০১৩ সাল থেকে ফাস্ট বোলিং খেলার যে দক্ষতা এই দল দেখাচ্ছে, তা রঘুর জন্যই হয়েছে। ও নিজের দক্ষতা এতটাই বাড়িয়েছে যে সাইডআর্ম থেকেও ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে সহজেই বল করতে পারে।'