অপ্রত্যাশিতভাবে ভারতকে দেশের মাটিতেই টি২০ সিরিজে পর্যুদস্ত করেছে শ্রীলঙ্কা। ডামাডোল কাটিয়ে শ্রীলঙ্কা ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেই ফুল ফুটিয়েছে। এমন জয়কে সম্মান দিতে এবার শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের আর্থিক পুরস্কার দেবে লঙ্কান বোর্ড। শনিবারই জাতীয় দলের জন্য ১ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কান বোর্ড।
বৃহস্পতিবারই করোনা বিধ্বস্ত ভারতীয় দলকে ২-১'এ হারিয়ে সিরিজ দখল করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কার্যনির্বাহী কমিটি সমস্ত ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং কোচেদের ভারতের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ। সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এসেছে বহু প্রত্যাশিত এই জয়। আসন্ন দিনে এই জয় ক্রিকেট দলকে আরো ভালো খেলতে উৎসাহ যোগাবে। এই জয়কে সম্মান জানাতে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের কার্যনির্বাহী কমিটি জাতীয় দলের জন্য ১ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করল।"
আরো পড়ুন: ভারতকে হারিয়ে কেরিয়ারে স্বপ্নপূরণ! ৩৩-এই অবসর লঙ্কান সুপারস্টারের
মাঠে বেশ কঠিন সময় পেরোচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি জটিলতায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দল নামানোই একসময় মুশকিল হয়ে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের। এর মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে এল শ্রীলঙ্কার প্রথম টি২০ সিরিজ জয়।
ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে ১-২ ব্যবধানে হারার পরে শ্রীলঙ্কা টি২০ সিরিজে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করে। ১৩ বছর পরে এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজে ভারতকে হারাল শ্রীলঙ্কা। এর আগে শ্রীলঙ্কা ২০০৮ সালে ভারতকে দেশের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল। সবমিলিয়ে আটবারের পর এবারই টি২০ সিরিজে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল শ্রীলঙ্কা।
টি২০ সিরিজে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ৩৮ রানে বিধ্বস্ত হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে সিরিজ ১-১ করে ফেলেন শানাকারা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই ভারতীয় শিবিরে হানা দেয় কোভিড। ক্রুনাল পান্ডিয়া পজিটিভ ধরা পড়তেই তাঁকে তো বটেই আটজন তারকাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। কার্যত তৃতীয় সারির দল নিয়েই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে নামতে হয় ধাওয়ানদের। দ্বিতীয় ম্যাচে টানটান লড়াই হলেও শেষ ম্যাচে ভারত কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি লঙ্কানদের সামনে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা একাই ৪ উইকেট নিয়ে শেষ করে দেন ভারতকে। সবমিলিয়ে সিরিজে ৭ উইকেট নিয়ে তিনিই সিরিজের সেরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন