ঘণ্টায় ১৪৮.৭ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে এল জোফ্রা আর্চারের 'বিষাক্ত' বাউন্সার। সজোরে গিয়ে আঘাত করে স্টিভ স্মিথের ঘাড়ে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন অজি ব্য়াটসম্য়ান। ৮০ রানে তখন ক্রিজে ব্য়াট করছিলেন স্মিথ। এই বাউন্সারে আঘাতে দীর্ঘক্ষণ মাটিতে শুয়ে ছিলেন তিনি।
Advertisment
দু'দলের মেডিক্য়াল স্টাফেরা এসেই স্মিথের শুশ্রুষা শুরু করে দেন। এরপর স্মিখ ফিজিও-র কাঁধে ভর দিয়ে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। আহত ও অবসৃত হন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে স্মিথ ফিরে আসেন মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্য়েই। এসে ফের শুরু করেন তাঁর খেলা। এরপর তিনি আরও ১২ রান যোগ করেন। মাত্র আট রানের জন্য় সেঞ্চুরি মাঠে রেখে আসতে হয় প্রাক্তন অজি অধিনায়ককে। ক্রিস ওকসের বলে ৯২ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যান স্মিথ।
আর এসবেরই সাক্ষী থাকল লর্ডস। কিন্ত স্মিথকে ফের খেলতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মিডিয়া। যদিও অজি কোচ জাস্টিন ল্য়াঙ্গার বললেন যে, এটা মোটেই ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল না এটা। তিনি বললেন, " ও সবরকম পরীক্ষায় পাশ করেছিল বলেই ফের মাঠে নামে। মেডিক্য়াল টিম ওকে ফিট সার্টিফিকেট দেয়। দেখুন, ওরা আমার সন্তানের মতো। ফলে কখনই ওদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারি না। যদিও টেস্ট খেলা সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ।"
স্মিথের এই চোট ফিরিয়ে এনেছিল ফিল হিউজের আতঙ্ক। ২০১৪ সালে এরকম ঘাতক বাউন্সারে মাঠেই প্রাণ হারান হিউজ। তারপর থেকেই ব্য়াটসম্য়ানদের বাড়তি সুরক্ষার জন্য় হেলমেটের সঙ্গে নেকব্য়ান্ড যোগ করা হয়। যদিও অনেক ক্রিকেটারই এরকম হেলমেটে খেলতে স্বচ্ছন্দ্য় বোধ করেন না। স্মিথও সেই তালিকায়। কিন্তু ল্য়াঙ্গার বলছেন এই ঘটনার পর থেকে স্মিথেরও উচিত নেকব্য়ান্ড দেওয়া হেলম্য়াট ব্য়বহার করার। অজি কোচের মতে ভবিষ্য়তে এই হেলমেট বাধ্য়তামূলক হওয়া উচিত।