বুধবারই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ইগর স্টিমাচকে নতুন কোচ হিসেবে নিযুক্ত করেছে। ছ’দিন আগেই ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল যে, স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের পর সুনীলদের ক্লাস নেবেন প্রাক্তন ক্রোয়েশিয়ার কোচ। এদিন তাতে সিলমোহর পড়ল। স্টিমাচের কোচিংয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ছেত্রী। এদিন গোলডটকম-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তি ফুটবলার দাভর সুকেরের প্রাক্তন সতীর্থ ছিলেন স্টিমাচ। ৫১ বছরের ফুটবলার ১৯৯০-২০০২ পর্যন্ত দেশের হয়ে রক্ষণ ভাগ সামলেছেন। ৯৮ সালে বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে শেষ করা ক্রোয়েশিয়া দলেও ছিলেন তিনি। ৯৬ সালে ইউরো কাপের শেষ আটে গিয়েছিলেন। ২০১২-২০১8 পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার কোচ হিসেবেও পাওয়া গিয়েছে স্টিমাচকে। তাঁর কোচিংয়ের ক্রোটরা ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইও করেছিল। নিঃসন্দেহে ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে হাই প্রোফাইল কোচ তিনি। যাঁর অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। এই প্রসঙ্গেই সুনীল বলছেন, "ওনার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। ফুটবলে প্রচুর অভিজ্ঞতা ওঁর। আমাদের প্রচুর প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার রয়েছে। জাতীয় দলে স্টিমাচের অভিজ্ঞতাই আমারা উপকৃত হব।"
আরও পড়ুন: সুনীলদের হেড স্যার বেছে নিল ফেডারেশন
স্টিমাচের হাত ধরেই ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল ম্যাটিও কোভাচিচ, আন্তে রেবিচ, অ্যালেন হ্যালিলোভিচ, ইভান পেরিসিচের মতো ফুটবলাররা। তাঁর কোচিংয়েই ডারিও সানা, ড্যানিয়েল সুবাচিচ, ইভান স্ট্রিনিচ, কোভাচিচ, পেরিসিচরা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। স্টিমাচ ভারতের কোচ হওয়ার আগে শেষবার কাতারের আল-শাহহানিয়া ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। সুনীল বলছেন, "যেসব দল আর খেলোয়াড়দের তিনি ম্যানেজ করেছেন তাঁর থেকে অবশ্যই ভারত আলাদা। তিনি ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ছিলেন। উনি জানেন কীভাবে আমাদের উন্নয়ন সম্ভব। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।"