জাতীয় দলের জার্সিতে অবসরের পর অনেক ক্রিকেটারই কোচ হিসেবে নতুন জীবন শুরু করেন। তবে সুনীল মনোহর গাভাসকার মোটেই সেই পথ বেছে নেননি। ধারাভাষ্যকার হিসাবে নতুন ভুমিকাতেও সফল হয়েছেন। কেন জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তাঁকে দেখা গেল না, এমন প্রশ্নেরই এবার জবাব দিলেন গাভাসকার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্টে ১০,১২২ রান সহ ১৩ হাজারেরও ওপর রান। বিশ্বে সর্বকালের সেরাদের একজন। তবে তাঁর কোচিং সেভাবে পেল কোথায় পরবর্তী প্রজন্ম! কোচ না হলেও তিনি একবার জাতীয় দলের উপদেষ্টার পদে ছিলেন। ২০০৪ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গাভাসকার জাতীয় দলের উপদেষ্টা হন। তবে তারপর থেকে জাতীয় দলে কোনো রকম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে।
আরো পড়ুন: জাদেজার পর এবার মঞ্জরেকরের ‘অপমান’ অশ্বিনকে! যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন সরাসরি
সুনীল গাভাসকারকে কোচ হিসেবে দেখা না গেলেও রবি শাস্ত্রী এবং কপিল দেবকে কোচের দায়িত্বে পাওয়া গিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে শাস্ত্রীয় জমানা চলছে। তাঁর আগেও ম্যানেজার হয়েছিলেন তিনি।
যাইহোক, গাভাসকার এক ইউটিউব চ্যানেলে জানালেন, "আমি কখনই ভালো ক্রিকেট দর্শক ছিলাম না। এমনকি যখন আমি খেলতাম তখনও। আউট হয়ে যাওয়ার পর নিজের আউটটাও টানা দেখতে পারতাম না। হয়ত কিছুক্ষণ দেখলাম। তারপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে, অথবা কিছু পরে এসে কোনো চিঠির রিপ্লাই দিয়ে এসে আরো একবার দেখলাম। তাই গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের মত বল ধরে ধরে একদম ক্রিকেট দেখতে পারি না। বিশ্বনাথ, আমার কাকা মাধব শাস্ত্রী আবার বল ধরে ধরে ম্যাচ দেখেন। আর কোচ বা নির্বাচক হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্তই হল বল ধরে ধরে ম্যাচ ফলো করতে হয়। এই কারণেই কখনো কোচ হওয়ার কথা ভাবিনি।"
কোচ না হলেও অতীতে একাধিক তারকা ক্রিকেটারকে টিপস দিয়ে অবশ্য সাহায্য করতে করেননি। যদিও তিনি জানালেন, বতর্মান জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার অবশ্য তাঁর সাহায্য চাননি।
সানি জানাচ্ছেন, "অনেক ক্রিকেটারই আমার কাছে পরামর্শের জন্য এসেছে। এখনকার নয়, তবে শচীন, শেওয়াগ, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ, সৌরভ এসেছে আগে। আমার পর্যবেক্ষণ ওঁদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে ভাল লেগেছে। তাই ক্রিকেটারদের মাঝে মধ্যে সাহায্য করলেও, দীর্ঘ সময়ের জন্য এই কাজ করতে পারতাম না।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন