জাতীয় দল নাকি বর্তমানে একাধিক লবিতে বিভক্ত। কার্যত এমনই অভিযোগ করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালেন স্বয়ং সুনীল মনোহর গাভাসকার। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, জাতীয় দলে এক এক জনের জন্য এক এক নিয়ম। যা কখনই কাম্য নয়।
আর অন্যায়ের শিকার কারা? গাভাসকার বলে দিয়েছেন, টি নটরাজন এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্য হিন্দু-র স্পোর্টসস্টার কলামে গাভাসকার ভয়ংকর অভিযোগ এনে লিখেছেন, "রবিচন্দ্রন অশ্বিন শুধু বোলিংয়ের জন্য ভোগেনি। নিজের মনের ভাবনা স্পষ্ট করে বলার জন্য সমস্যায় পড়েছে। টিম মিটিংয়ে নিজের ভাবনা জানানোর পর সতীর্থরা ওঁর কথায় ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায়, ওঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত না হওয়া সত্ত্বেও। যদি অশ্বিন একটা ম্যাচে উইকেট না নিতে পারে, পরের ম্যাচেই অবধারিত ভাবে সাইডলাইনে জায়গা হয় ওঁর। এটা প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে হয়না।"
আরো পড়ুন: শামির জন্য অজি ক্রিকেটে ডামাডোল, প্রকাশ্যেই চ্যাপেলকে ধুয়ে দিলেন স্মিথ
এর পরে টি নটরাজনও যে জাতীয় দলে অবিচারের শিকার, তা-ও জানান তিনি। বাবা হওয়ার পরের দিনেই নটরাজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান। আইপিএলে নজর কাড়ার পর সটান আইপিএলের বায়ো বাবল থেকে জাতীয় দলের বায়ো বাবলে ঢুকে পড়েন তিনি। দুবাই থেকে সরাসরি পাড়ি দেন অস্ট্রেলিয়ায়।
সন্তান জন্মের পর এখনও সদ্যজাতের মুখ দেখার সুযোগ পাননি নটরাজন। টেস্ট দলের স্কোয়াডে না থাকা সত্ত্বেও নটরাজনকে সীমিত ওভারের সিরিজ শেষের পর ব্যাক আপ হিসাবে রাখা হয়েছে টেস্ট স্কোয়াডে। অন্যদিকে, বিরাট কোহলি আবার সন্তান জন্মের জন্য আগেভাগেই ছুটি নিয়ে রেখেছেন জাতীয় দল থেকে।
এই বিষয়েই প্রশ্ন তুলে লিটল মাস্টার সাফ জানিয়েছেন, জাতীয় দলের এক এক জনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম। চাঁচাছোলা ভাষায় সানি লিখেছেন, "প্রথমবারের জন্য বাবা হয়েছিল নটরাজন। সেই সময় নটরাজনকে জাতীয় দলে অস্ট্রেলিয়াগামী দলে নির্বাচিত না করেও নেট বোলার হিসাবে থেকে যেতে বলা হল। তখন আইপিএলের প্লে অফ চলছে। জাস্ট একটু ভাবুন। একটা ফরম্যাটের ম্যাচ উইনারকে অন্য ফরম্যাটের নেট বোলার হিসাবে থাকতে হচ্ছে। নটরাজন বাড়ি ফিরবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই সিরিজ শেষ হলে। তখনই মেয়েকে প্রথমবার দেখবে। আর কোহলি প্রথম টেস্টের পরেই জন্মের সময়েই সন্তানকে দেখার সুযোগ পাবে!"
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন