কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করা হয়েছে। প্রস্তাব করা হয়েছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী আইন নিয়েও। এর পরেই ছাত্র ও নাগরিক সমাজের একাংশ কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধ্বংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হয়েছেন নাগরিকদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ, স্লোগানের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে রাজপথে।
এর প্রেক্ষিতেই কিছুদিন আগেই মুখোশধারী দুর্বৃত্ত হামলা চালায় দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে। যা নিয়ে আর একপ্রস্থ উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। এমন অস্থির সময়েই মুখ খুললেন সুনীল মনোহর গাভাসকার।
বাইশ গজে ব্যাট করতে নেমে ভয়াল পেসারদের মোকাবিলা করতেন অনায়াসে। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন কয়েকদশক হল। তবু বাইশ গজের আক্রমণাত্মক ভাবভঙ্গি পালটাতে পারেননি লিটল মাস্টার। জেএনইউ হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলে সাফ জানিয়ে দিলেন, দেশ একটা সমস্যার মধ্য়ে দিয়ে চলেছে।
রাজধানীতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী-র স্মারক বক্তৃতায় নিজের বক্তব্যে বলেন বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের একহাত নিয়ে বলেন, "দেশে টালমাটাল অবস্থা চলছে। বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। ওদের যদিও ক্লাসরুমে থাকা উচিত ছিল। রাস্তায় থাকার কারণে অনেককেই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন বড়সড় ধাক্কা খেলেন হার্দিক, বাদ পড়তে হল জাতীয় দল থেকে
গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে ভারত। সিএএ-র বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল জামিয়া মিলিয়া। তারপরে জেএনইউ কাণ্ড। রাস্তায়, বিভিন্ন শহরে অযাচিত বিক্ষোভ করে শক্তি প্রদর্শন তো রয়েইছে। তবে গাভাসকার আশাবাদী, এই কঠিন সময় পেরোবে ভারত।
ছাত্র-ছাত্রীদের নিশানা করে তিনি আরও বলেছেন, "অনেক ছাত্র ছাত্রীই ক্লাসরুমে নিজেদের কেরিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত। আমরা দেশ হিসেবে আরও সমৃদ্ধশালী হব, যদি আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি। আমাদের সকলকে ভারতীয় হয়ে উঠতে হবে, বাকি সবকিছু ফেলে। খেলা আমাদের এটাই শিখিয়েছে।" ঐশী ঘোষদের মতো বিক্ষোভরত ছাত্র-ছাত্রীদের কড়া বার্তায় গাভাসকারের পরামর্শ, "আমি কেবল ওদের ক্লাসরুমে ফেরত যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারি। এটাই ওদের কাজ। ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করতে গিয়েছে। প্লিজ পড়াশুনো করো তোমরা।"
আরও পড়ুন ধাক্কা এবার মুম্বইয়ে! চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নে ইতি রোহিতদের
এর সঙ্গেই কিংবদন্তির সংযোজন, "আমরা একসঙ্গে থাকলে জয় নিশ্চিত। একত্রে থাকলে অনেক উঁচুতে দেশকে পৌঁছে দিতে পারি আমরা। অতীতে অনেক টালমাটাল অবস্থা পেরিয়ে এসেছে দেশ। এই সমস্যাও পেরিয়ে যাব। শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করব। "
১৯৬৫-র পাকিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ এনে গাভাসকার আরও বলেছেন, "আমার মনে পড়ছে ১৯৬৫-র কথা। সেই সময় আমাদের প্রতিবেশী আমাদের দেশ আক্রমণ করে যথাযথ জবাব পেয়েছিল।"
Read the full article in ENGLISH