ধোনির অবসরে বড় ভূমিকা থাকতে চলেছে বিরাট কোহলি। এমনটাই জানিয়ে দিলেন সুরেশ রায়না। যিনি ধোনির আপনজন বলেই ক্রিকেট সার্কিটে পরিচিত। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পরে ধোনির অবসরের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে। জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক যিনি দেশকে দু-বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিয়েছেন, তিনি বোর্ডের চার ধরনের চুক্তির ক্যাটেগরিতে জায়গা করতে পারেননি।
তবে জাতীয় দলে ধোনির ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, সিএসকে-তে ধোনি যে সুরক্ষিত, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মালিক এন শ্রীনিবাসন। জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ সালেও ধোনি তাঁদের দলের জার্সিতে আইপিএল খেলবেন।
তার আগে ধোনির আইপিএল নির্ঘন্ট জানিয়ে দিলেন সুরেশ রায়না। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের একসময়ের তারকা ক্রিকেটার জানাচ্ছেন, "মার্চের প্রথম সপ্তাহে হয়তো ধোনি চেন্নাইতে আসবে। তবে ওকে এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখে ভাল লাগছে।"
রায়না অবশ্য এখনই বর্তমানে চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ট্রেনার গ্রেগ কিংয়ের তত্ত্বাবধানে ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন বাঁ হাতি স্টাইলিশ তারকা। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেননি। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রত্যাবর্তনের জন্য তাই রায়নার চোখ আইপিএলে।
রায়না ধোনির ভবিষ্যতের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, "যদি অবসর নেওয়ার হত, তাহলে ধোনি এতদিনে অবসর নিয়ে ফেলত। তবে আমি চাই ও খেলা চালিয়ে যাক। ওকে ফিট লাগছে। অনুশীলনেও কঠোর পরিশ্রম করছে ফিটনেস নিয়ে। ব্যক্তিগতভাবে আমার এখনও মনে হয় জাতীয় দলে ধোনির এখনও প্রয়োজন রয়েছে। তবে এটা পুরোটাই নির্ভর করছে বিরাট কোহলির সিদ্ধান্তের উপরে।"
অর্থাৎ রায়না পরোক্ষে সাফ জানিয়ে রাখছেন, ধোনির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বিরাট কোহলির নিজস্ব সিদ্ধান্তের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর থেকেই ধোনি জাতীয় দলের বাইরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম-অ্যাওয়ে সিরিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা- একের পর এক সিরিজ শেষ হয়েছে আর ধোনির জন্য আক্ষেপ বেড়েছে ভক্তদের। ধোনি অবশ্য অবসরের কোনও বার্তা দেননি। মাঝে সেনাবাহিনীর কাজে কাশ্মীরেও কর্তব্য পালন করে এসেছেন।